অশোক মিত্র ও ফিরোজ হক্, জলপাইগুড়ি: প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। যা ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্সের অভাব আর অন্যদিকে কোভিড হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কম। এই দুটি সমস্যাই বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার লকডাউনের পথ বেছে নিয়ে রাজ্যে বৃহস্পতি এবং শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই লকডাউনকে মান্যতা দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার অধিকাংশ জনগণ বৃহস্পতিবার নিজেদের গৃহবন্দী রেখেছেন।
দেখে নেওয়া যাক জলপাইগুড়ি জেলার সেই লকডাউনের ছবি-
ধুপগুড়ির সুপার মার্কেটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। সেই সুপার মার্কেটে কার্যত দু-একটি প্রাণী ছাড়া মানুষ চোখে পড়েনি। অন্যদিকে ধুপগুড়ি চৌপথিতে গাড়ি-ঘোড়া এবং দোকানপাট খোলা ছিল না। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালেও এই দৃশ্য চোখে পড়ে, দু একজন রোগী থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ মানুষের ভিড় ছিল না বললেই চলে। সবমিলিয়ে ধুপগুড়ির সাধারণ জনগণ লকডাউনকে সম্পূর্ণ মান্যতা দিয়ে নিজেদের গৃহবন্ধি রেখে সচেতনতা পরিচয় দেন।

অন্যদিকে এইদিন ময়নাগুড়ি বাজারও ছিল জনশূন্য। যানবাহন এইদিন একদমই চলেনি। সকাল থেকেই দোকানপাট ছিল বন্ধ। ময়নাগুড়ির এই পরিস্থিতি দেখে কার্যত খুশি ময়নাগুড়ির সচেতন বাসিন্দারা।

এইদিন জলপাইগুড়ি শহরও ছিল জনশূন্য। অন্যান্য দিনের মতো মানুষের ভিড় একদমই ছিল না। রাস্তায় হঠাৎ দু-একজনের দেখা মিললেও রাস্তাগুলি সারাদিনই জনশূন্য ছিল। দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এইদিন মালবাজারের রাস্তাতেও যানবাহন ও মানুষের ভিড় একদমই ছিল না। দোকানপাট বন্ধ ছিল। উল্লেখ্য যে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মালবাজারে ১৫-ই জুলাই থেকেই ছিল লকডাউন।

অন্যদিকে মেটেলী ব্লকও এইদিন ব্যতিক্রম থাকতে পারেনি। এইদিন সকাল থেকেই মেটেলী, চালসা সহ একাধিক স্থানগুলি ছিল লোকজনহীন। সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে লকডাউন পালনে তৎপর হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনও। লকডাউন সঠিকভাবে পালন করানোর জন্য এইদিন পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে।

এইদিন জলপাইগুড়ি জেলায় শহরতলি থেকে গ্রাম, বাগান অধিকাংশ স্থানেই লকডাউনকে মান্যতা দেয় জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতি দেখে খুশি হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার সচেতন বাসিন্দারা।
