নিউজপিডিয়া ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষার ১৩৯ দিন পর প্রকাশিত হল ফল। বুধবার মেধাতালিকা প্রকাশ করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। সাফল্যের নিরিখে এবার প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। ওই জেলার ৯৬.৫৯ শতাংশ পড়ুয়া এবার পাশ করেছে। তারপরেই রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। কলকাতায় পাশের হার ৯১.০৭ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৯০.৬০ শতাংশ এবং হাওড়া ৮৭.৬৩ শতাংশ।
একনজরে দেখে নিন মেধাতালিকা:
প্রথম: মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ছাত্র অরিত্র পাল। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৪।
দ্বিতীয়: মোট ২জন দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। বাঁকুড়ার ওন্দা হাইস্কুলের ছাত্র সায়ন্তন গড়াই, কাটোয়ার কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের পড়ুয়া অভীক দাস। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৩।
তৃতীয়: কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের ছাত্র সৌম্য পাঠক। দেবস্মিতা মহাপাত্র এবং রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন হোমের ছাত্র অরিত্র মাইতি। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯০।
চতুর্থ: বীরভূম জেলা স্কুলের পড়ুয়া অগ্নিভ সাহা। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৯।
পঞ্চম: পঞ্চম হয়েছে ৪ জন। বংশীহারি হাইস্কুলের ছাত্র অঙ্কিত সরকার, স্বস্তিক সরকার, রশ্মিতা সিনহা মহাপাত্র, বিভা বসু মণ্ডল।
ষষ্ঠ: ষষ্ঠ হয়েছে ১২ জন।শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের রিঙ্কিনি ঘটক। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের অর্চিস্মান সাহা রাজিবুল ইসলাম, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজিয়েট স্কুলের সৃজন সাহা, দক্ষিণচক হাইস্কুলের অরিজিৎ গুহ রায়, সপ্তর্ষি জানা, অশোকনগর বাণীপীঠ গার্লস হাইস্কুলের অস্মি চৌধুরি। হাওড়ার সৌহার্দ পাত্র। তাদের প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৭।
সপ্তম: সপ্তম হয়েছে ১৭ জন। করণ দত্ত, ঋতম বর্মন, সোহম তামাং, অরণী চট্টোপাধ্যায়, অরিত্র মাঝি, সাগ্নিক মিত্র কেন্দুয়া, বর্ধমান সিএমএইচ হাইস্কুলের শৌভিক সরকার, দিব্যকান্তি ঘোড়ই, সম্প্রীতি কুণ্ডু, পিয়াস প্রামাণিক, সাহিত্য মণ্ডল, শহিদ মহম্মদ শামিম।
অষ্টম: অষ্টম হয়েছেন ১১ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। তালিকায় রয়েছে নাসমিন আজাদ, মহম্মদ তাহিনুজ্জামান, সুপ্রতীক পণ্ডিত, অঙ্কিতা ঘোষ, শুভঙ্কর মাইতি-সহ আরও অনেকে।
নবম: নবম স্থানাধিকারী অনেকেই। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।
দশম: মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারীরা পেয়েছেন ৬৮৩ নম্বর।
এদিন পর্ষদ সভাপতি মেধাতালিকায় থাকা মোট ৮৪ জনের নাম প্রকাশ করেছেন। এই তালিকায় কলকাতার কোনও পড়ুয়ার নাম নেই। জানা গিয়েছে, ২২ জুলাই রাজ্যের মোট ৪৯টি কেন্দ্র থেকে মার্কশিট বিলি করা হবে। সফল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা কীভাবে ইলিভেনে ভরতি হবে, সেই নিয়মকানুন সম্পর্কে এদিন জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সফল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেউ যদি নিজের স্কুলে ভরতি হতে চায়, তারা আগামী ১-১০ আগস্টের মধ্যে ভরতি হতে পারবে। যারা স্কুল বদলের ভাবনাচিন্তা করছে তারা ভরতির সুযোগ পাবে ১১-৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ভরতির সময় সশরীরে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে উপস্থিত থাকতে হবে না। শুধু অভিভাবকরা স্কুলে গিয়েই ভরতি প্রক্রিয়ার সমস্ত কাজ করতে পারবেন।”