
দি থার্ড আই ডেস্ক : রবিবার সামাজিক দূরত্বের নীতি লঙ্ঘন করেই মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার বিজেপি বিধায়ক দাদারাও কেচে প্রায় দুই শতাধিক কর্মীকে নিয়ে উদযাপন করলেন নিজের জন্মদিন।
স্থানীয় উপ বিভাগীয় কর্মকর্তা করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধে কেচের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় নোটিস জারি করেন। যদিও কেচে তাঁর জন্মদিন উদযাপনের জন্য লোকেদের আমন্ত্রণ করার ব্যাপারটা অস্বীকার করেছেন।
দাদারাও কেচে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমি কেবল ২১ জন শ্রমিককে আমন্ত্রণ করেছিলাম কিছু খাবার বিতরণ করার জন্য যারা করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের জীবিকা হারিয়েছেন। তারপর আমি সকাল ১১ টায় আমার গুরু বাবা বিক্রমের আশ্রমে যাই। কিন্তু আমার রাজনৈতিক বিরোধীরা পরিস্থিতিটা কাজে লাগিয়ে এই কথাটি ছড়িয়ে দেয় যে আমি খাদ্যশস্য বিতরণ করছি যাতে লোকেরা আমার বাসভবনে ভিড় করে।আমি তখনই ছুটে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় বাড়ির সামনে জমায়েত মানুষদেরকে সরিয়ে দেই।”
তিনি আরোও জানিয়েছেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সামাজিক দূরত্বের নিয়মটি সকলকে কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। তবে বিরোধীরা আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য সুযোগটি ব্যবহার করেছে”।
কেচে অবশ্য তাঁর অভিযোগে সুনির্দিষ্ট ভাবে কারও নাম উল্লেখ করেননি। সেনাবাহিনীর উপ বিভাগীয় কর্মকর্তা হরিশ ধার্মিক স্থানীয় পুলিশ কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, মহামারী আইন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা এবং IPC ধারা ১৮৮ ও ২৬৯এ র বিধি অনুসারে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেছেন।
ওয়ার্ধার কালেক্টর বিবেক ভীমানওয়ার জানিয়েছেন, “আমরা তাকে কর্মসূচির জন্য কোনও অনুমতি দিইনি, তিনি আমাদের কাছে কোনও আবেদনও করেননি। তিনি রক্তদান শিবিরের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা অনুমতি প্রত্যাখ্যান করি। পরিবর্তে আমরা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে আরভি প্রাথমিক স্বাস্থ কেন্দ্রে (PHC) পাঁচজন ব্যক্তির রক্তদানে অনুমতি দিয়েছিলাম। পুলিশ তার বাসভবনে জনতার ভিড়ের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পদক্ষেপ নেয়। SDO পুলিশকে এব্যাপারে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
ওয়ার্ডার পুলিশ-সুপার রাসভরাজ তেলি নিশ্চিন্ত করেছেন যে, ভিড়ের সময় দাদারাও কেচে বাড়িতেই ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা কেচের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে একটি অপরাধ নথিভুক্ত করেছি”।