নিউজপিডিয়া স্পোর্টস ডেস্ক: বিদেশি, বাঙালী খেলোয়াড় চয়নে চমক দেওয়ার পর এবার ভিনরাজ্যের খেলোয়াড় তুলে আনার ক্ষেত্রেও মুন্সিয়ানার ছাপ রাখলো ওয়াসিম আক্রাম বাহিনী।
আগে ফেসবুক খুললেই কর্তাদের গালাগালিতে টাইমলাইন ভরে থাকতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ঘরে-বাইরে এমনকি রাজনৈতিক মহলেও কান পাতলে শোনা যায় মহামেডানের নতুন কর্তাদের স্তুতি। আর হবে না-ইবা কেন? দল গঠন থেকে শুরু করে মাঠকে আধুনিক মানের গড়ে তুলতে অমানসিক পরিশ্রম করছেন এঁরা।
তাঁদের পরিশ্রমের আরও একটি ফসল ঘরে তুললো মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
বিগত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। আজ সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ চুক্তিপত্রে সই করে পাঠালেন মধ্যপ্রদেশের ইনদওর’এর ফুটবলার মইনুদ্দিন খান। ২৩ বছর বয়সী মইনুদ্দিন খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে।
এছাড়া, স্ট্রাইকারেও খেলতে পারেন। পেশাদার ফুটবলে খ্যাতি অর্জন মিনার্ভা পাঞ্জাবে খেলা কালীন।
২০১৬ থেকে ২০১৮! টানা মিনার্ভা পাঞ্জাবের প্রথম একাদশে মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন মইনুদ্দিন। মিনার্ভা পাঞ্জাবের আই লিগ জয়েও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেন এই মিডিও।
২০১৮-১৯ মরসুমে তাঁকে দলে নেন মোহনবাগান। সেবার মোহনবাগানের কলকাতা লিগ জয়ী টিমের সদস্যও ছিলেন তিনি।
সেই মইনুদ্দিনকে এবার তুলে নিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিলেন মহামেডান কর্তারা!
নির্ভরযোগ্য সূত্রে মইনুদ্দিনের সই-এর খবর পেয়ে মহামেডান সচিব ওয়াসিম আক্রামকে ফোনে ধরা হলে,তিনি সই-এর কথা স্বীকার করে নেন।
তিনি বলেন, ”মইনুদ্দিনের অন্তর্ভুক্তিতে আমাদের শক্তি বাড়লো কোনো সন্দেহ নেই।মইনুদ্দিনের প্লাস পয়েন্ট হলো,ও একাধিক পজিশনে খেলতে পারে। আমরা এবার ইউটিলিটি ফুটবলার তুলে আনার দিকে নজর দিচ্ছি।”
তবে মইনুদ্দিনকে দলে ভেড়ানোর ব্যাপারে তিনি কৃতিত্ব দেন ক্লাবের ইউথ ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান দানিশ ইকবালকে।
তিনি বলেন, “মাঠের মধ্যে দলগত সংহতি যেমন জয় পেতে সাহায্য করে,তেমনি মাঠের বাইরে আমি, শারিক, বেলাল, দানিশ-সহ সকলে সম্মিলিত-ভাবে দলকে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
এই সই এর ব্যাপারে যার অবদান অনস্বীকার্য, সেই দানিশ ইকবাল বলেন, “ভালো লাগছে ওয়াসিম ভাইদের মতো মানুষের সাথে কাজ করতে।আমরা একটা ‘টিম’ হয়ে কাজ করতে পারছি, এটাই বড় ব্যাপার। সবাই নিজের নিজের কাজটা মন দিয়ে করছি, তাই আজ সুন্দর একটা দল উপহার দিতে পেরেছি সমর্থকদের।”
সত্যি মাঠের বাইরে টিম মহামেডানের পারফরম্যান্স কিন্তু এবছর অন্যতম সেরা।