নিউজপিডিয়া ডেস্ক: ডাক্তারের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে নিহত হলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ও দিল্লী মেডিক্যাল কলেজের ২৫ বছর বয়সী এক প্রাক্তন ছাত্রী। বুধবার সকালে ওই মেডিক্যাল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত একজন চিকিৎসককে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগ্রায় স্নাতকোত্তর অর্জনরত শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। তার লাশ পাওয়া যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেছিল তার পরিবার। মৃত মেডিক্যাল ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ,উত্তরপ্রদেশের আগ্রার জালুন শহরে কর্মরত এক ডাক্তার ও এক মেডিক্যাল অফিসার তাকে অনবরত যৌন হেনস্থা করছিল, এমনকি হুমকিও দিচ্ছিল বলে জানা গেছে। এরপরই বুধবার ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তা আত্মহত্যা নাকি খুন তা স্পষ্ট নয় এখনো।
আগ্রার এক পুলিশ কর্মকর্তা বাবলু কুমার বলেছেন,” বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর লাশ পাওয়া গেছে, লাশটি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত এক ডাক্তার কে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মৃত ছাত্রীর মাথা এবং ঘাড়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ; আমরা আশেপাশের অঞ্চল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি।”
গত কয়েক সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে মেয়ে ও মহিলাদের উপর চলতে থাকা নির্যাতনের ঘটনায় বিরোধী দল গুলির চাপের মুখে পরেছে যোগি আদিত্যনাথ সরকার। সোমবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছিলেন যে “যোগি সরকার মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।বুলান্দশহর, হাপুর, লক্ষিমপুর খেরি এবং এখন গোরক্ষপুর। এই জাতীয় পুনরাবৃত্তি ঘটনা প্রমাণ করেছে যে উত্তরপ্রদেশ সরকার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।”