নিজস্ব সংবাদদাতা, দিনহাটা : লকডাউন এর ফলে থমকে গেছে চলমান কার্যকলাপ। অনেককেই অর্ধাহারে দিন গুনতে হচ্ছে। এমনাবস্থায় রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে, বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু আজ আলাদা ভাবে নজর কেড়ে নিল মীর হুমায়ূন কবীর ও তার সহকর্মীরা।
লকডাউন শুরুর থেকে দুঃস্থ পরিবারের হাতে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ুন কবীর। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে কোচবিহার জেলা গ্রিন জোন থাকায় , সাধারণ মানুষ অর্ধাহারে থাকলেও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয় ছিল যথেষ্ঠ কম। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন করোনা সংক্রমিত এলাকা থেকে নিজের এলাকায় ফিরছে। এর ফলে সাধারণ মানুষরা যে বিষয় নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন, সেটাই যে হলো। আজ কোচবিহার জেলার করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা শতাধিক পার করেছে। এবং তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে আবার কয়েকজনের দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি একটু কমেছে। এর মধ্যেই আজ দিনহাটা মহকুমার অন্তর্গত হাসপাতাল, থানা ও সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসের কর্মরত কর্মীবৃন্দ , চিকিৎসক, নার্স , পুলিশকর্মীদের হাতে
মাস্ক, স্যানিটাইজার , হ্যান্ড গ্লাভস ও অন্যান্য সামগ্রী তুলে দিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ুন কবীর। এবং অন্যান্য সহকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অজয় রায়, সাবির সাহা চৌধুরী, পিন্টু হক ও মজি।
মীর হুমায়ুন কবীর নিউজেপিডিয়াকে জানান, ” লকডাউন শুরুর থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আজ এই কঠিন পরিস্থিতিতে যারা নিজের জীবন কে বিপন্ন করে মানুষের সেবা করছেন। নিজের পরিবার ছেড়ে অন্যের পরিবারের সদস্য কে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন । তাদের জন্য আজ আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস”।
পিন্টু হক জানায়, ” আজ আমরা অসহায়, চারিদিকে শুধু হা হা কার। এই অবস্থায় আমরা নিজের জীবন কে বাঁচানোর জন্য ঘরের চার দেওয়ালে নিজেকে আটকে রেখেছি। কিন্তু সব কিছু সচল রাখতে যারা অবিরাম পরিশ্রম করছে, নিজের কথা না ভেবে। আমাদের উচিৎ তাদের কথা একটু ভাবা। আজকের দিনে সকল ডাক্তার, নার্স , পুলিশ কর্মী ও যারা কোভিড ১৯ মোকাবিলা করছে সামনের সারি থেকে, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।