নিউজপিডিয়া ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আমফান তান্ডব চালিয়ে ফিরে গেলেও তার রেশ এখনও রয়েছে। আমফানের ত্রাণ বিতর্কে রাজ্য এখন জেরবার। আমফানের মাস অতিক্রান্ত হলেও দেগঙ্গার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে এখনো পৌঁছয়নি ক্ষতিপূরণের টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ত্রাণের সেই টাকা নিয়ে ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে টাকা চলে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে। কয়েকদিন ধরেই এই অভিযোগে বিক্ষোভ চলছিল দেগঙ্গার বিডিও অফিসের সামনে। সোমবার বিডিও অফিসের গেটই ভেঙে ফেললেন বিক্ষোভকারীরা। ব্যাপক ভাঙচুরও চালানো হয় বিডিও অফিসে। এর জেরে প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকে টাকি রোড। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দেগঙ্গা ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ ঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিডিও অফিসে আবেদন জানিয়েও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই টাকা পায়নি। সেক্ষেত্রে দেগঙ্গার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্যরা স্বজনপোষণ করে ঘনিষ্ঠদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছেন। ফলে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই।
এই অভিযোগে সোমবার কয়েক হাজার মানুষ তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে বিডিওকে। অভিযোগ, বেলা ১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হলেও ৪টে পর্যন্ত বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলারও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
শেষে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে বিডিও অফিসের মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। বিডিও অফিসের ভিতরে থাকা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারাসাতের এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। এর পর বিডিও-র আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।