
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : বিশ্বজুড়ে মারন ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে লকডাউন বিশ্বের একাধিক দেশে। গৃহবন্দি মানুষ , স্তব্ধ হয়েছে গোটা বিশ্ব সহ জনজীবন। এই লক ডাউনে সবচেয়ে বেশি সমস্যাতে পড়েছে সমাজের অসহায়, সম্বলহীন দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলো। এ চিত্র আজ রাজ্যের সব জেলাতেই। এই অবস্থায় অসহায় পরিবার গুলোর মুখে দুবেলা খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এলো সুন্দরবনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নব দিগন্ত। পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই প্রথম দিন থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে এই সংস্থা।
নব দিগন্ত জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ তহবিল গঠন করে, যেখানে অর্থ প্রদান করে সাহায্য করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল আমিন মিশন থেকে শুরু করে বিশিষ্ট সমাজসেবীরা। লকডাউনের একেবারে প্রথম দিন থেকে আজ প্রায় ১ মাস এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুস্থ মানুষের জন্য ব্যবস্থা করেছে চাল, ডাল ,আলু, পেঁয়াজ, নুন ,সরিষার তেল, সহ স্যানিটাইজারের। স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা ও জরুরী পরিষেবা দানকারীদের জন্যে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স ও পুলিশ কর্মীদের জন্যে বণ্টন করেছে প্রায় পাঁচশত N95 মাস্ক ও পাঁচ হাজার সার্জিকাল মাস্ক, এক শত কাপড় এর মাস্কবিতরণ করেছে উইথ ইউ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির বিশেষ সহযোগিতায় । তাই খাদ্য সামগ্রী সহ করোনা মোকাবিলার প্রাথমিক উপকরণগুলো নিয়ে দুর্বার গতিতে পৌঁছে যাচ্ছে কখনো সুন্দরবনের দুর্গম ও প্রান্তিক এলাকাতে, কখনো আবার পৌঁছে যাচ্ছে পাহাড়ে দার্জিলিং কিংবা জলপাইগুড়ি, কখনো আবার সীমান্তবর্তী এলাকা বনগাঁতে, কখনো যাচ্ছে নিউটাউনে। এভাবেই প্রতিদিন কোন না কোন জেলাতে পৌঁছে যাচ্ছে নব দিগন্তের খাদ্য সামগ্রী সহ করোনা মোকাবিলার উপকরণ নিয়ে অসহায় সম্বলহীন অসহায় দুস্থ পরিবারের দরজার দরজায়
নব দিগন্তের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ডা: ফারুক হোসেন গাজী বিশেষ কয়েকটি সংবাদপত্রের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা প্রথম দিন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পাঁচশত পরিবার এর বেশি পরিবারের এর কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরেছি সাথে সাথে পাঁচশোর বেশি মাস্ক বিতরণ হয়েছে।” ডা: ফারুক এবং তার টিম সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে। ফারুকের বক্তব্য,”আমরা প্রত্যেকেই করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লড়াই করছি। আমরা জানি যে এখনো পর্যন্ত করোনা মোকাবিলার কোন প্রতিষেধক ঔষধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। তাই রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত নির্দেশিকা আমাদের মেনে চলতে হবে ও বাড়িতে থাকতে হবে ।আমরা রাজ্য সরকারের সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই মানুষের পাশে থাকার জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি।”