বিশেষ প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শেষ পর্যন্ত সিপিএমের শর্ত মেনে নিল নবান্ন। তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাদ দেওয়া হল শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ড থেকে। শনিবার জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিকেলে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান এবং ৬ বাম কাউন্সিলরকে সদস্য করা হয়েছে।
১৬ মে শনিবারই শেষ হয় শিলিগুড়ি পুরবোর্ডের মেয়াদ। করোনা পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা পুরসভার মতই শিলিগুড়িতেও বিদায়ী মেয়রকে চেয়ারম্যান করে ১২ সদস্যের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলরেরও নাম ছিল।
বোর্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের নাম থাকায় প্রশাসনিক বোর্ড গঠনে অস্বীকার জানায় সিপিএম। তাদের দাবি, শিলিগুড়ি বোর্ড থেকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের সরাতে হবে। আর নাহলে শিলিগুড়ির মতো অন্যান্য বোর্ডেও বিরোধী কাউন্সিলরদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই শর্ত মানলেই শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের দায়িত্ব নেবেন তাঁরা।
পরিশেষে শনিবার তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে বোর্ড গঠনের নির্দেশ জারি করে নবান্ন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে সিপিএম।
অশোক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “অনৈতিকভাবে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বোর্ডে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা হচ্ছিল। আমরা এর বিরোধিতা করে সাফল্য পেয়েছি। এই সাফল্য শিলিগুড়ির জনগণের সাফল্য। দ্রুত আমরা এই দায়িত্ব গ্রহণ করব।”
সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর ক্ষেত্রে আইন এনে নিয়োগ করা উচিত ছিল। যদিও শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে তেমন আইনি বাধা নেই।” সংবিধানের নিরিখে ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ন করার পরেও একই ব্যক্তি একই দায়িত্বে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।