নিউজপিডিয়া ডেস্ক: জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) সোমবার গোপালার মাটিয়ায় বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ৫৬ জনকে উদ্ধার করেছে।
রাজ্যে গত তিন দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে এই অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র এবং তার শাখা নদী কৃষ্ণা নদীতে জলস্তর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ফলে নদীগুলির জল স্থানীয় এলাকা প্লাবিত করেছে। যার কারণে হাওড়া ঘাট গ্রামের স্থানীয়দের জনজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক স্থানীয় মানুষও মারা গেছে। এনডিআরএফ-এর একটি দল বন্যাকবলিত গ্রামে পৌঁছে স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেছে।
পাশাপাশি এই দলটি করোনা মোকাবিলায় মাস্ক বিতরণও করে চলেছে। আবার জলাবদ্ধ অঞ্চলগুলিতে স্ক্রিনিং এবং অন্যান্য সামগ্রীও পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করছে।
এনডিআরএফ গুয়াহাটির প্রথম ব্যাটালিয়ন এই বর্ষা মৌসুমে ১,৪৫০ এর বেশি স্থানীয়কে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, এনডিআরএফ-এর প্রায় ১২টি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এই মুহূর্তে আসামে মোতায়েন রয়েছে। তাঁরা জোড়াহাট, বনগাইগাঁ, কামরূপ মেট্রো, ধুবরি, বারপেটা, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, কাছার, শিবসাগর, সোনিতপুর, ধেমাজি এবং তিনসুকিয়া সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে তাঁদের কার্যক্রম জারি রেখেছে।
আসমের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এনডিআরএফ এর আরও ৪টি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে তদারকির কাজ করছে।
এদিকে আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আসামের বন্যা ২৪টি জেলাকে প্রভাবিত করে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। যার ফলে ১০৯৬০০.৫৩ হেক্টর ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বন্যার ফলে রাজ্যের ২৪ লক্ষেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার জল ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির ফলে ২,২৫৪টি গ্রামকে প্রভাবিত করেছে।
রাজ্যের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সহায়তার জন্য সরকার বন্যা কবলিত জেলাগুলিতে ২৭৬টি ত্রাণ শিবির এবং ১৯২টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।