নিঠুর স্বপ্ন
পায়েল মিত্র
যে ছিলো তোমার প্রেমিকা, তার লুকোনো খাতায় আমাকে নিয়ে গল্প লেখা হতো।
মেঘপিওনের দেশে জীবনকথা স্থগিত হলে
ঝড়বৃষ্টির খেলায় ভোর হতো আমার গ্রামে।
জানালা থেকে বৃষ্টি দেখতাম এমন সময় নষ্ট বুকে বাজ পড়তো।
অঙ্গ অঙ্গ জ্বলতো ঈশ্বরী ছায়ায়, বুঝতাম কলম চলছে।
ডায়েরির পাতায় কাটা হচ্ছে নানাবিধ আঁচড়।
চিৎকার করা বারণ, পুরুষত্বের ধ্বনি তার আঙুলে ব্যথা দেয়।
তৎপর সে কলম চালাতে না পারলে আমার মুখোশ খুলে যাওয়ার আশঙ্কায় বুকটা ঝাঁঝরা হয়ে গলেও চুপ করেই থাকলাম।
প্রত্যাহার শেষে পঞ্চইন্দ্রিয়ের হুংকারে দিকবিদিকশুন্য গায়ে ধুম জ্বর!
একার সংসারে অসুস্থ শরীরের দায় আমারই,
দুপুর গড়িয়ে গেলো পাতা পড়ার শব্দে,
চোখের দিবাস্বপ্ন আমাকে ঘুমোতে দিলো না।
এদিকে সে ব্যাকুল আমার স্বপ্ন হবে বলে।
তার স্বপ্ন হওয়ার সময় আছে, যত্ন করার সময় নেই।
জ্বর গায়ে আচ্ছা করে জড়িয়ে ধরলাম তাকে।
সোহাগে রাঙিয়ে দিলাম অন্তনীলের নদী।
আমার শরীরের পারদে বয়ে গেলো নিঠুর স্রোত।