নিজস্ব সংবাদদাতা, মালবাজার: রাস্তার ওপরে জমা জলে পরে থাকা বিদ্যুতবাহী তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো এক ছাত্রীর। শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে যাবার পথে রাস্তায় পরে থাকা বিদ্যুৎবাহী তারে পা দিয়েই মৃত্যু হল এক ১০ বছরের ছাত্রীর। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো ডুয়ার্সের মালবাজার ব্লকের সাইলি চা বাগানে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃত পড়ুয়ার নাম প্রিয়া টোপ্পো।বাগানেরই চেল লাইন পার্শ্ববর্তী মানসা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। এদিন সকালে স্কুলে যাবার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয় ওই ছাত্রী। স্থানীয়দের অভিযোগ বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনা। মৃত ছাত্রীটি বাগানের চেল লাইন এলাকার বাসিন্দা।এদিকে বিদ্যুৎপৃষ্ট অবস্থায় ঐ নাবালিকাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। তবে তারটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় কেউ উদ্ধারের সাহস পায়নি। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন বাগানের ফ্যাক্টারি ম্যানেজার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এবং মালবাজার থানার পুলিশ।
বাগানের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে এসে অর্জুন ছেত্রী দাবি করেন, “সেভাবে কোনো ঝড় বৃষ্টি বা গাছের ডাল ভাঙেনি,কেবল মাত্র তারটি ছিড়ে পড়ে এতবড় দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা। বিদ্যুৎবাহী তারের রক্ষনাবেক্ষনে বিদ্যুৎ দফতরের কোনো নজরই নেই”।
প্রসঙ্গত বাগানের ফ্যাক্টারি ম্যানেজার সাইনাথ প্রধান বলেন,”অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিদুৎ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে।তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে”।
রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিক বড়াইক বলেন, “খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। মৃতের পরিবারের পাশে আছি আমরা। উপযুক্ত ক্ষতিপুরন যাতে পরিবারটি পায় তার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বিদ্দুৎ এর তার মেরামতেরও দাবি জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে”।
মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুশিল প্রসাদ বলেন, “প্রায় ৪ ঘন্টা পর মৃত ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে”। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে মালবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা, আই সি সুজিত লামা সহ অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ। এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বাগানের শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে মৃতদেহটি উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়।