নিজস্ব সংবাদদাতা, মালবাজার: মালবাজার পুরসভার কিছু কাজকর্মে প্রশ্ন তুলে পৌরসভার প্রশাসককে স্মারকলিপি দিলেন মালবাজার পুরসভার প্রাক্তন, বিরোধী দলনেতা সহ বিরোধী কাউন্সিলরগণ ও বর্তমান প্রশাসক কমিটির কো অর্ডিনেটর সুপ্রতিম সরকার, মহুয়ারানী ঘোষ, রাজীবরঞ্জন টেটে ও স্বপ্না সরকার। তাদের স্মারক লিপিতে উল্লেখ থাকে বর্তমানে পৌরসভার আয়ের সাথে সামঞ্জস্য না রেখে পৌরসভায় অসংখ্য কর্মী নিয়োগ হয়েছে অবৈধভাবে। এর ফলে কর্মীদের বেতন অনিয়মিত ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।সময়মত বেতন না পেয়ে তারা গভীর অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, পৌরসভার স্থায়ী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা ও লোকমুখে শোনা যাচ্ছে যে সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বর্তমান পৌর প্রশাসক বোর্ডের কো অর্ডিনেটরদের এর পরিবারের সদস্যদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। এতে পুরসভার গরিমা ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করে এ ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসক তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান এর কাছে স্বচ্ছ ও পরিস্কার ব্যাখ্যার দাবী করেছেন।
স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে যে পৌরসভার নিজস্ব আবাসে ‘রিলিফ নার্সিং হোম’ ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু দীর্ঘ কয়েকমাসের ভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছে। এতে পৌরসভার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তাছাড়া পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় ৩ নং ওয়ার্ডে ‘প্রত্যুষা কমিউনিটি সেন্টার’কে নার্সিং হোম করার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেআইনীভাবে পার্শবর্তী জায়গা দখল করে শেড তৈরী করছে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এতে পৌরসভার মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন তারা।
ডেপুটেশনকারীরা আরও বলেছেন, হাউজিং ফর অল এর আওতায় যাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এই চার সদস্য বিগত পুর বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তাই এই বিষয়টির ওপরে পরিস্কার ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা ও বর্তমান পৌর কো অর্ডিনেটর সুপ্রতিম সরকার বলেন, আমরা শেষ পৌরবোর্ডের সদস্য থাকবার সময় স্থায়ী কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল যার নিয়োগপত্র এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি কিন্তু লোকমুখে বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে যার ফলে পৌরসভার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। সেই বিষয়েই সঠিক তথ্য আমরা জানতে চেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময় হওয়া বোর্ড মিটিং গুলোতে বিভিন্ন তথ্য বা বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি আজ আমরা পুনরায় স্মারকলিপির মধ্য দিয়ে তা তুলে ধরলাম।
এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে মাল পৌর বোর্ডের বর্তমান প্রশাসক স্বপন সাহা বলেন, যথেষ্ট স্বচ্ছতা নিয়ে বিগত পৌরসভা কাজ করেছে। ওনাদের অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। ওনারা গত ৫ বছর পৌর বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তখন কিছুই বলেননি। এতদিন বাদে এই কথাগুলো আসছে কেন? এখন এজাতীয় অভিযোগ শুধু রাজনৈতিক চমক ছাড়া কিছু না।