নিউজপিডিয়া ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার দেশবাসী। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। মহারাষ্ট্র সহ কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, দিল্লি, পাঞ্জাব ইত্যাদি জায়গায় করোনা বাড়বাড়ন্ত অধিক মাত্রায়। পশ্চিমবঙ্গে ততটা ভয়াবহ আকার ধারন না করলেও আগেভাগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের করোনার গ্রাফটা মাঝে বেশ কিছুটা কমলেও এখন আবার তা ফের বাড়তে শুরু করেছে ভোটের মরসুমে। রাজনৈতিক নেতৃত্বদের জনসভায় উপচে পড়া ভিড় ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে মানুষের মনে। সেই জনসভায় না আছে কোনো দূরত্ববিধি। না আছে মাস্ক। এরকম পরিস্থিতিতে ফের রাজ্যের সরকারি দপ্তর গুলোতে অর্ধেক হাজিরা সমেত আরও বেশ কিছু করোনা নিয়ম বিধি বলবৎ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
গত বছর ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয় দেশজুড়ে। এবং তারপর ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরও রাজ্য এর সরকারি দপ্তর গুলোতে অর্ধেক হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবার করোনা বাড়তে শুরু করায় ফের সেরকমই অর্ধেক হাজিরার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার এবং তখন করোনা মোকাবিলায় যে নিয়ম গুলি মানা হতো সেগুলোকেও আবার নতুন করে মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে আবার ঠিক মতো করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছেনা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি এমনটাই অভিযোগ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বলেন, “মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পেলাম না। টাকাটা আমরাই দিতাম। কী কারণ, আমরা খুঁজছি। একটাই কোম্পানি কেন বরাত পাবে?” ভোটের আগে বিজেপি নেতা নেত্রীদের ঘনঘন রাজ্যে আসা নিয়েও তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যখন করোনা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিলেন? আমি একা একা ঘুরে বেড়াতাম। মানুষকে সাহায্য করতাম। তখন কাউকে দেখা যায়নি। ওষুধটা পর্যন্ত পাইনি আমরা।”