নিউজপিডিয়া ডেস্কঃ রাজনৈতিক দলের অংশ হয়েই কিছু মানুষের নিজেদেরকে গুন্ডা-মস্তান প্রমাণ করার প্রবণতা এখনও গেল না। আর ভবিষ্যতেও যাবে বলে মনে হয় না! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে, এই দাবি না মানায় শ্লীলতাহানির শিকার হলেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে, কাঁকসা থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামের বামুনারা এলাকায়। জানা গেছে, পঞ্চায়েত অফিসের বদলে দলীয় কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার এই দাবি না মানায় উপপ্রধানকেই শ্লীলতাহানি করে তৃণমূল কর্মীরা।
এই ঘটনার জেরে বাধ্য হয়ে কাঁকসা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ও লিখিত অভিযোগ করেন উপপ্রধান শম্পা পাল। তিনি বলেন “স্বাস্থ্যসাথীর ছবি তোলার কাজ শুরু হচ্ছে এলাকায়। প্রধানের নির্দেশ মাফিক ছবি তোলার কুপন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত অফিস থেকে। কিছু টোকেন আমি ঘর থেকে দিছিলাম যাঁরা সময়মতো কাজের সময়ে পঞ্চায়েত অফিস যেতে পারছেন না, তাঁদের জন্যে।” অভিযোগ জানিয়ে বলেন, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাপ্পা গোস্বামী, সজল রায়- সহ আরও বেশ কিছু কর্মী এসে তাঁর কাছে জানায় দলীয় কার্যালয় থেকে দিতে হবে কুপন। তবে সরকারি কাজ অফিস থেকেই হওয়া উচিত এটা বলার পরই দলবল নিয়ে এসে ওই কর্মীরা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। এবং তাঁর শ্লীলতাহানিও করে।
এই ঘটনার পরই সুযোগ পেয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, “এতদিন এই রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে আমরা যা যা কথা বলেছি, অভিযোগ করেছি আজ সেই কথাগুলো সত্যি হচ্ছে।”