সোমনাথ দত্ত , মালবাজার: মালবাজার মহকুমার নব নির্মিত ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে প্রায় ১৫০ টি পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মালবাজার মহকুমা শাসক পিয়ুস সালুংখে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলনকে পলিথিন, চাদর সহ অন্যান্য ত্রান সামগ্রী প্রদানের কাজ শুরু করা হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে।
গত কয়েকদিন ধরেই ডুয়ার্স এর বিস্তীর্ণ এলাকার সহ পার্শবর্তী পাহাড়ি এলাকায় চলছে প্রবল বর্ষন। ফলে এলাকার তিস্তা, ধরলা সহ অন্যান্য নদীর জল ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় কার্যত নিচু এলাকা চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাষ্টারপাড়া, কেরানীপাড়া, উত্তর বাসুসুবা সহ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকার প্রায় ১৫০ টি বাড়িতে জল ঢুকে যায়। খবর পেয়েই মালবাজার মহকুমা শাসক পিয়ুস সালুংখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তারই নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলিকে পলিথিন সহ অন্যান্য ত্রান সামগ্রী প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। বেশকয়েকটি পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘিস নদীর জলচ্ছাসে লিসরিভার চাবাগানের ১৮ নম্বর আবাদি এলাকার প্রায় ৫০ মিটার নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার শ্রমিকরা জানায় ছোট বড় মিলিয়ে ৪ টি নদীর জল বাঁধটিকে ক্ষতি করেছে। বাঁধ ভেঙ্গে পড়লে চাবাগানের আবাদি এলাকা ও শ্রমিক মহল্লার বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকেও সারারাত ধরে প্রবল বর্ষনের ফলে নাগরাকাটা বাজার সংলগ্ন ছওছাড়িয়া মোড়, নন্দু মোড় এলাকায় প্রায় ৭০টি বাড়িতে জল জমে যায়। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণেই এই জল জমেছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। নিকাশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে আকাশের মুখ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভার হয়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়।আর এতেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রত্যন্ত নিচু এলাকার মানুষের মধ্যে।