
দি থার্ড আই ডেস্ক: এই প্রথম সরকারিভাবে কোন দেশ ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ (ইউএফও)-র ভিডিও জারি করল। গতকাল আমেরিকার সামরিক হেডকোয়ার্টার পেন্টাগনের তরফে তিনটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এমনই অজ্ঞাত ইউএফও-র। এর ফলে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রচলিত দীর্ঘদিনের ধারণা আবার উস্কে দিল আমেরিকা।
‘দ্য গার্ডিয়ানের’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউএস নেভির পাইলটরা ভিডিও তিনটির একটি নভেম্বর ২০০৪ সালে এবং অন্য দুটি জানুয়ারি ২০১৫ সালে রেকর্ড করে। এই ভিডিওগুলি আগেই বেসরকারিভাবে প্রকাশ পায় ২০০৭ ও ২০১৭ সালে। পেন্টাগন জানিয়েছে, “ভিডিওগুলির সত্যতা সম্পর্কে লোকের ধারণা পরিস্কার করার উদ্দেশ্যেই প্রকাশ করা হল ভিডিওগলি।” পেন্টাগনের বিবৃতি অনুযায়ী ঘটনাটিকে “অজ্ঞাত মহাজাগতিক ঘটনা” আখ্যা দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ৪০ ফুট লম্বা অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী যানকে আকাশে ভাসমান অবস্থায়। সেটিকে লক্ষ্য করে ইউএস নেভির একজন পাইলটকে বলতে শোনা যাচ্ছে “দেখ্ দেখ্, ওটি ঘুরছে।”
এতদিন কল্পবিজ্ঞানের গল্পে রাজত্ব করেছে এই ইউএফও। ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে নাকি পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীবাসীরাই একা এই বিতর্কও বহুদিনের। প্রচুর সিনেমা হয়েছে এই নিয়ে। স্পিলবার্গের হলিউউডি ‘ইটি’ থেকে রাকেশ রোশনের বলিউডি ‘কোই মিল গয়া’। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভিডিও জারি হয়েছে বেসরকারিভাবে। সেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেছে লোকের মনে। কিন্তু সরকারিভাবে এই ভিডিও প্রকাশের পর লোকের কৌতুহল আরো বেড়ে গেল। সত্যিই তাহলে ভিনগ্রহে বাস করে জীব? সেই ভিনগ্রহীরা কি মাঝে মাঝেই দেখতে আসে পৃথিবীবাসীকে? এইসব প্রশ্নের মাঝেই অনেকেই পেন্টাগনের কাছে দাবী করেছেন পরবর্তী গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য।