নিউজপিডিয়া ডেস্ক, ২১ জুনঃ ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাশ করেও চাকরি জোটেনি। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়োগ আপাতত বন্ধ। তাই অনেক কষ্টে দিন গুজরান করছেন টেট উর্ত্তীণ ১২০০ কর্মপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রশিক্ষণ শেষ হলেই তাঁদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু সরকার কথা রাখেনি। পাশাপাশি NCTE-এর নিয়ম মেনে তাঁদের টেট পাসের শংসাপত্রও দেওয়া হয়নি। টেট পাসের শংসাপত্রের মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত থাকে। দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ২ মাসের মধ্যে টেট সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করার জন্য সরকার ডিভিশান বেঞ্চে যায় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উর্ত্তীণ প্রার্থীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ঘনঘন ইমেল করতে থাকেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনে নামেন। দিন সাতেক আগে প্রায় ৫০০ প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে গণ ইমেইল করেন। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর জবাব, “ওই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। তখন প্রশিক্ষণ না থাকায় নিয়োগ হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরু হলে টেট পাস প্রার্থীদের কথা ভাবা হবে।’’
চাকরি হনি পাস করেও
মা মাটি মানুষ আছে।