নিউজপিডিয়া ডেস্ক: উচ্চ শিক্ষিতা এক মহিলা একটি গাড়িতে ফল বিক্রি করছেন। চিত্রটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের। পৌরসভার আধিকারিকরা তাঁকে সেখান থেকে সরাতে গেলে সেই তথ্য প্রকাশ হয়। জানা গেছে, পদার্থ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারী ওই মহিলা মধ্যপ্রদেশের পরদেশীপুরার। চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁর ভাইবোনরাও বেশ শিক্ষিত।
রাইসা আনসারী নামের ওই মহিলা পরিবারের সাথে পরদেশীপুরার বেকারি স্ট্রিটে বাস করেন। চাকরি না পাওয়ায় তাঁর বিজ্ঞানী হওয়ার বাসনা বিষ বাঁও জলে।
আনসারী জানিয়েছেন, ‘পদার্থ বিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করে বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোথাও চাকরি পেলাম না। বাধ্য হয়েই আমি এখানে ফল বিক্রি করি। তাতেও বাধা সৃষ্টি করেছন পৌরসভার আধিকারিকরা। পরিযায়ীদের মতই এখান থেকে সেখানে যেতে বাধ্য হচ্ছি। আক্ষেপের সুরে তিনি জানান, ধর্মের কারণে আমরা চাকরি পাচ্ছি না তবে আমরা ভারতীয় হতে পেরে গর্বিত। আমি এখনও চাকরি খুঁজছি।’
রাইসার মা আয়েশা আনসারী জানান, তিনি নিজে শিক্ষিত নন। তবে তাঁর চার সন্তানই (তিনটি মেয়ে এবং একটি ছেলে) ভাল শিক্ষিত কিন্তু কেউ চাকরি পাননি। তাই তারা সবাই ফল বিক্রি করে।
তিনি আরও জানান যে, ‘এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। রাইসা এবং শাহজাহান একটি শিক্ষিত ছেলে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের বর্ণের কারণে তারা উপযুক্ত পাত্র পায়নি। কখনও কখনও আবার যৌতুকের কারণে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। একা আছেন। আমার দুই নাতি-নাতনি জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ভবিষ্যতে তারা চিকিৎসক হতে চাই।
প্রতিবেশীরা সকলেই শিক্ষিত ওই পরিবারটির প্রশংসা করেছেন। তারা বলেন, শিক্ষিত পরিবারটির কোন সদস্য চাকরী না পাওয়ায় ফল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।