আমাদের দেশে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এটা আগের থেকে ও ভয়াবহ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য লকডাউন এর সমাধান নয়। প্রধানমন্ত্রীর ও মত লকডাউন এখন নয়। লকডাউন আমাদের শেষ অস্ত্র। কিন্তু তাঁরা কি বুঝছেন না এই দেশে ও যে কোন মুহূর্তে ইতালির ইতিহাস হয়ে যেতে পারে।
আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর দেশের প্রধানমন্ত্রী একে অপরের চরম বিরোধিতা করলেও এই ক্ষেত্রে দুজনের ভালোই মিল দেখছি। আসলে সেখানে ও কাজ করছে নিজেদের স্বার্থ। এখনও পশ্চিমবাংলার ভোটের প্রচার শেষ হয় নি। এখনও সমগ্র ভোটপর্ব শেষ হয় নি। এই মুহূর্তে লকডাউন হলে ওঁনাদের সমূহ বিপদ। কিন্তু যদি দেশ শশ্মান হয়ে যায় তাহলে কাদের নিয়ে এই রাজ্য এই দেশ চলবে!! এই মুহুর্তে ইলেকশন কমিশনর ও করোনায় আক্রান্ত। মন্ত্রীরা বলছেন লকডাউন করলে পরিযায়ী শ্রমিকদের অসুবিধা হবে। গরীব যারা দিনমজুর তাদের খুব দুর্দশা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন বাড়িতেই এমন পরিবেশ তৈরি করতে যাতে দরকার ছাড়া বাইরে বের হতে না হয়।
কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মানুষ এতটাই বিশৃঙ্খল, লাগামছাড়া আর স্বার্থপর যে তাদের পিঠে বন্দুক দেখিয়ে কড়া শাসন না করলে তারা মাস্ক ও পরবে না আর পার্টি হুল্লোর বন্ধ ও করবে না। আর রইল পরে দিন মজুরদের কথা….আজকের দিনে এত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে তারা বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর সাহায্য করেন। আমরা নিজেরাও সকলে সাহায্য করি সাধ্যমতো। তাই এই মুহূর্তে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো অন্তত লকডাউন করা বিশেষ প্রয়োজন। তাতে কারোর কোন ক্ষতি হবে না। উল্টে করোনার প্রকোপ একটু হলেও কমবে আর নির্লজ্জ স্বার্থপর মানুষগুলোকে ঘরবন্দি করা যাবে। আর আমরা সবাই যদি একটু সচেতন হই তাহলে আমাদের পাশে থাকা দুঃস্হ মানুষগুলোকে আমরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য করতেই পারি। তাই নেতা নেত্রীদের এই মুহূর্তে লকডাউন এর বিপক্ষে যাওয়া স্বার্থপ্রসূত ছাড়া আর কিছুই নয়।
সমাজব্যবস্থা আর সমাজের মানুষদের বাঁচানোর জন্য নাগরিকদের এক হওয়ার সময় এসেছে।
কলমে জয়ন্তী বন্দোপাধ্যায় মুখার্জি