নিউজপিডিয়া ডেস্কঃ রবিবার সকালে ভয়াবহ তুষারধস ফিরিয়ে আনল কেদারনাথের স্মৃতি। চামোলি হিমবাহে ফাটলের কারণেই এই ধস বলে মনে করছে তদন্তকারী দল। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে তুষারপাত ও ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। দিল্লি থেকে চারটি ও দেরদুন থেকে একটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এনডিআরএফের মুখ্য পরিচালক এস এন প্রধান পিটিআই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, দিল্লির নিকটবর্তী হিন্ডন এয়ার ফোর্স বেস থেকে বিমান চালু করা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল জড়ো করা হয়েছে।

এই ভয়াবহ তুষারধসে ইতিমধ্যেই অনেকজনের হতাহতেরও খবর মিলেছে। তবে এই মুহূর্তে সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তুষারধসে অনেকে আটকে পড়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের চার জেলায় জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধৌলিগঙ্গা বাঁধেও ভাঙন ধরেছে। নদীর পাড়ে থাকা অনেক ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা করা হচ্ছে। এখনও উদ্ধারকার্য চলছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের ধাক্কায় চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অলকানন্দার নিচু এলাকাও জলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে ভাগীরথীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে। ফলে খালি করে দেওয়া হয়েছে শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাঁধ। এই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা তুলে ধরে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও।