দিল্লিতে এক নাগাড়ে বাড়তে থাকা ডিজেলের দামের ফলে এখন পেট্রোলের থেকেও বেশি মূল্যবান ডিজেল। ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বুধবার থেকে ডিজেলের প্রতি লিটার দাম ৪৮ পয়সা বেড়ে দাঁড়াল ৭৯.৮৮ পয়সা।
লকডাউনের পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে মোট ১৮ বার বাড়ল ডিজেলের দাম। অন্যান্য রাজ্যেও এর দাম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বরাবরই পেট্রোলের দাম ডিজেলের থেকে বেশি থেকেছে। কিন্তু এদিন পেট্রলের দাম যেখানে ৭৯.৭৬ টাকা প্রতি লিটার সেখানে ডিজেলের দাম ৭৯.৮৮ টাকা প্রতি লিটার। ফলে রাজধানী দিল্লিতে এই প্রথম ডিজেলের দাম পেট্রোলের দামের থেকে বেশি হলো।
কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির যেভাবে কর আদায় করছে তাতে ডিজেলের দাম বিস্তৃত ব্যবধানে পেট্রোলকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও উভয়ই ডিজেলের উপর ট্যাক্স কম রাখে কারণ এটি মূলত পরিবহনকারী এবং কৃষকদের ব্যবহারে কাজে লাগে। তবে ২০১৪ সালের অক্টোবরে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণহীন করার কারণে, কেন্দ্রীয় করের পার্থক্য সংকীর্ণ হয়েছে তবে রাজ্যগুলি এখনও এটিকে নিম্ন দিকে রাখে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লিতে পেট্রোলের দামের ৬৪% এবং ডিজেল মূল্যের ৬৩%। তবে অন্যান্য রাজ্যে ডিজেলের উপর ট্যাক্স কম। এ কারণেই অন্যান্য রাজ্যে দামের ব্যবধান এখনও কম। কিন্তু দিল্লিতে জ্বালানী ট্যাক্স এপ্রিল অবধি দেশের সর্বনিম্ন ছিল, এবং মুম্বাইয়ের সবচেয়ে খাড়া ছিল। তবে দিল্লি সরকার মে মাসে ১৬.৭৫% থেকে ডিজেলের উপর ভ্যাট ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরে এটি বিপরীত হয়েছে, যা মুম্বাইয়ের চেয়ে ডিজেলের দাম বেশি। পেট্রোলের ভ্যাটও ২৭% থেকে বাড়িয়ে ৩০% করা হয়েছিল তবে এটি এখনও মুম্বাইয়ের চেয়ে কম। ফলস্বরূপ, পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১.৬৭ টাকা বেড়েছে কিন্তু ডিজেল ৭.১০ টাকা বেড়েছে।
সাধারণত ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের যানবাহনের দাম পেট্রোল চালিত যানবাহনের তুলনায় বেশি হয়। আর বানিজ্যিক যানবাহন ডিজেল চালিতই হয়ে থাকে। তাই গাড়ি কেনার সময় বেশি টাকা খরচ হলেও বরাবর ডিজেলের দাম কম থাকার কারণে জ্বালানির খরচ কম হতো। তবে দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলে তা আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচল হ্রাস পাওয়ায় কমেছিল অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে প্রায় ৩ মাস পর স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে জ্বালানির দাম। কিন্তু দিল্লিতে এই প্রথম পেট্রলের তুলনায় ডিজেলের দাম বেশি হলো।