
ফিরোজ হক: মালবাজারের আদর্শ বিদ্যাভবনের প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্র অয়ন সেন ঘড়ি মোড়ের কাছে ডিম বেঁচছে-এই খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসার পর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষেরা অয়নকে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করতে চান। সংবাদমাধ্যম মারফত এই মনখারাপ করা ঘটনাটি মালবাজারের পৌরপ্রধান ও এসডিও জানার পর অয়নের দোকানের কাছে চলে যান। সেখানে তারা অয়নের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর অয়নকে বলেন, “তোমাকে আর দোকান করতে হবে না। বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা করো।”

পৌর প্রধান স্বপন সাহা মহাশয় এর পূর্বেও অনেক অসহায় শিক্ষার্থীর খাদ্য বস্ত্র ও পড়াশোনার ভার নিজের মাথায় তুলে নিয়েছেন। অয়নের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি অয়নের পড়াশোনা বাবদ মাসিক ১০০০ টাকা দেওয়ার কথা জানান। সেইসঙ্গে অয়নের পড়াশোনার কোনোরকম সমস্যা হলে সরাসরি তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন।
শুধু পৌরপ্রধান মহাশয়ই নয়, সেইসঙ্গে মাল মহকুমার এসডিও শান্তনু বালা অয়নকে তার নম্বর দিয়ে বলেন , “যে কোনোপ্রকার সমস্যা হলে তুমি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।”

মালবাজারের পৌর প্রধান ও মাল মহোকুমার এসডিও মারফত এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আনন্দিত মালবাজারের বাসিন্দারা। এভাবেই মেধাবী অসহায় শিশুদের অভিভাবকের দায়িত্ব নেওয়া হলে লক্ষ লক্ষ ভাসমান জ্যোতিষ্ক বিলীন না হয়ে খোলা আকাশে ভেসে বেড়াবে।