নিউজপিডিয়া ডেস্ক: দেশদ্রোহিতার মামলায় অভিযুক্ত দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র শারজিল ইমাম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে অসমের গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র। সেই জেলে প্রায় ৪০০ জন করোনায় আক্রান্ত।
শারজিল সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের বিখ্যাত মুখ ছিলেন। শাহিনবাগের বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন জেএনইউয়ের এই ছাত্র। তাঁর ভাই মুজাম্মিল ইমাম টুইট করে সকলকে জানান, ‘জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকতে জোর করা হচ্ছে কোভিডে আক্রান্ত শ’য়ে শ’য়ে মানু্ষকে। কোনও স্বাস্থ্য পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে না গুয়াহাটি সেন্ট্রাল জেলে। প্রার্থনা করি দাদা যেন সুস্থ থাকে।’
এ বছরের শুরুর দিকে বিহারের জেহানাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। দাবি, শারজিল ইমামের একটি ভাষণে অসমকে এদেশকে থেকে আলাদা করে দেওয়ার কথা স্পষ্ট শোনা গিয়েছিল। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতর অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাকে জানুয়ারি মাসেই গুয়াহাটি নিয়ে আসা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি জেলবন্দী। সেখানেই করোনার কবলে পড়লেন শারজিল। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা হবে তাঁর। জেলের মধ্যে করোনা প্রভাব বিস্তার করছে, সেকথাটি দেশের বিশিষ্টজনেরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বোঝানের চেষ্টা করেছেন। দাগি আসামি নন, এরকম বেশ কয়েকজন জেলবন্দীকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জিও জানান তাঁরা। এরপরেই গর্ভবতী সাফুরা জারগারকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কবি, অধ্যাপক ভারাভারা রাওকে ছাড়া হয় না। কিন্তু তিনিও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়েন দিন কয়েক আগে। এবারে শারজিল ইমাম। মঙ্গলবার অসম মানবাধিকার কমিশন সরকারের কাছে একটি নোটিস পেশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্টের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে সরকারকে। কোভিড মহামারীর মধ্যে জেলবন্দীদের কীরকমভাবে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা চেয়েছে কমিশন।
সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের নেতা শারজিল ইমাম এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর গুয়াহাটি সেন্ট্রাল জেলের পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলের সদস্য ও নেতারাও আওয়াজ তুলেছেন।