বাপি আকুঞ্জি, সন্দেশখালি: “মাথার উপর আমাদের ক্যাপ্টেন আছেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাংলা জিতবেই”, আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবন তথা সন্দেশখালি বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনের পর এভাবেই ক্ষতিগ্রস্তদের মনোবল দৃঢ় করেছিলেন পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী গত ৫ ই জুন।এমন সংকটময় সময় মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছিল সন্দেশখালি আফফান বিধ্বস্ত মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে কোণঠাসা গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই আফফান লন্ডভন্ড করে দিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিশেষ করে সুন্দরবন লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। অসহায় হয়ে পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
এমন সংকটময় মুহূর্তে আবারো মানবিকতার পরিচয় দিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। গত ৬ই জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর নির্দেশে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হয় সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকের আফফান বিধ্বস্ত মানুষদের।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের বিষাক্ত ছোবলে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বসিরহাট মহাকুমার অধিকাংশ এলাকা।সন্দেশখালি,হাসনাবাদ, ন্যাজাট ও হিঙ্গলগঞ্জের বহু এলাকা এখনও জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতেই গত শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনা পরিষদের সভাধিপতি বীনা মন্ডল সন্দেশখালির দুটি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের (বিডিও) হাতে তুলে দেন ত্রাণ সামগ্রী ও বস্ত্র। এদিন ত্রাণ ও বস্ত্র সামগ্রী বিতরণে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, বিধায়ক দিপেন্দু বিশ্বাস , জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি , জেলা পরিষদের বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফরহাদ, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা ও সন্দেশখালি পর্যবেক্ষক ও আগারহাটি অঞ্চলের প্রধান শেখ শাহাজান সহ জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষ ও স্থানীয় নেতৃত্বরা।
ত্রাণ সামগ্রীতে ছিল সাংসারিক খাদ্যসামগ্রীর চাল , ডাল ,আলু, পেঁয়াজ, সোয়াবিন, সরিষার তেল ও বস্ত্র সামগ্রীতে ছিল,শাড়ি,লুঙ্গি,বাচ্চাদের পোশাক। এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান আগামী বুধবার আরো ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সন্দেশখালি অসহায় মানুষের সাহায্যে আসবেন এবং ভবিষ্যতে আরো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। তিনি আরো বলেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদ জেলার মানুষের পক্ষে সন্দেশখালি মানুষের সাহায্যে সারাক্ষণ জাগ্রত।