শচীন দাস, ইসলামপুর: প্রায় চার দশক ধরে বিদ্যালয় চালালেও আদৌ তার অনুমোদন মেলেনি। জরাজীর্ণ অবস্থায় কঙ্কালের মতন দাঁড়িয়ে রয়েছে পরিকাঠামো বিহীন একটি স্কুল ।সেটি ইসলামপুরের সুভাষনগর জুনিয়র হাই স্কুল। সরকারী অনুমোদনের দাবীতে রবিবার স্কুল প্রাঙ্গনে প্রতীকী অনশন ও রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। সুভাষনগর জুনিয়র হাই স্কুল ও স্কুলমাঠ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এদিনের অনশন ও রক্তদান শিবির কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এদিনের রক্তদান শিবিরের ফিতে কেটে সূচনা করেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র দাস।

এছাড়াও সুভাষনগর জুনিয়র হাই স্কুলের উন্নয়নে সরকারী অনুদানের দাবীতে এদিনের প্রতিকী অনশন মঞ্চে ইসলামপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রবীর দাস, স্থানীয় প্রাক্তন সামরিক কর্মী শঙ্কর ভাওয়াল, সঞ্জয় ভাওয়াল সহ স্থানীয় বাসিন্দারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় চার দশক আগে
সুভাষনগর জুনিয়র হাই স্কুলের পথ চলা শুরু হলেও আজ পর্যন্ত সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাদের স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এরাজ্যের সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। দুই বছর আগে চোপড়ার সোনাপুরে প্রশাসনিক সভায় এই স্কুলের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইসলামপুরের পৌর প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল দরবার করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।

ফলে যে আশা নিয়ে স্কুল গড়েছিলেন অনেকেই সেই আশা বাস্তবায়িত না হওয়ায় রীতিমতন হতাশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এদের মধ্যে অনেকের বয়সও পেরিয়ে গিয়েছে। একটি বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জমি থাকলেও এ বিষয়ে তেমন ভাবে এগিয়ে না আসায় ওই এলাকায় একটি বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।