নিউজপিডিয়া ডেস্ক: কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হলো ৯ জন শ্রমিকের মৃতদেহ যাদের মধ্যে ৬ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের ওয়ারাঙলের গেরুকন্টা নামক গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, এই ২ দিনে মোট ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ওয়ারাঙলের পুলিশ। জানা গিয়েছে এদের মধ্যে ৬ জন একই পরিবারের। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, মকসুদ আলম(৫০), তাঁর স্ত্রী নিশা আলম(৪৫), তাদের দুই ছেলে শাহবাজ আলম(২১) ও সোহেল আলম(২০), তাদের মেয়ে বর্ষা আলম(২২), বর্ষার ৩ বছরের ছেলে, শ্রীরাম(৩৫), শ্যাম(৪০) ও শাকিল(৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত একই পরিবারের ৬ জনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। জানা যায়, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা করিমাবাদের একটি ব্যাগ উৎপাদন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। লকডাউনের কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম অভাবে পরেন। বাড়ি ভাড়াও দিতে পারছিলেন না, তাই বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ঐ ব্যাগ উত্পাদন কোম্পানির প্রাঙ্গনে।
শ্রীরাম ও শ্যাম বিহারের বাসিন্দা। তারাও সেই কোম্পানির পাশেই একটি আবাসনে থাকতেন। এবং শাকিল সেই এলাকারই ছেলে যিনি কাছেই একটি ফ্যাক্টরির ড্রাইভার ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ সেই ব্যাগ কোম্পানির মালিক পাশেই কুয়োর মধ্যে কিছু ভেসে থাকতে দেখে পুলিশ কে খবর দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৪ টি মৃতদেহ উদ্ধার করে এরপর শুক্রবার সেই কুয়োর জল ছেঁকে আরো ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ প্রসঙ্গে ওয়ারেঙল এর পুলিশ কমিশনার ভি রবিন্দর জানান,” বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাগ উত্পাদন কোম্পানির মালিক তাঁর মিলের ৪ জন শ্রমিকের নিখোঁজের অভিযোগ জানান এরপর বিকেলে কুয়ো তে কিছু ভেসে রয়েছে বলে জানালে আমরা এসে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করি এবং শুক্রবার আরো ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করি।” মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অভাবের তাড়নায় পরে আত্মহত্যা করেছে এই শ্রমিকেরা। প্রত্যেকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের এর জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
নিখুঁত লেখনী এবং সত্য খবরের জন্য নিয়মিত ফলো করে আসছি।আগামি দিনে আরো উন্নত এবং এর প্রচার ও প্রসার ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করুন এই কামনা করি🤲🤲🤲