বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা: ইতিমধ্যেই রাজ্য তথা দেশ জুড়ে জারি হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন। গত রবিবারই কেন্দ্র সরকার ৩১’শে মে পর্যন্ত লকডাউন বর্ধিত করে কোন ক্ষেত্রে কি কি ছাড় থাকবে, কি কি বন্ধ থাকবে সে বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেন। তবে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১শে মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন জারি রাখলেও সব বিষয়ে কেন্দ্রের সাথে একমত হননি। তিনি জানিয়েছেন ,” কেন্দ্রের নির্দেশ মতো এ রাজ্যেও ৩১শে মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।” কেন্দ্র ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু জারি করলেও মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার জানিয়ে দেন,” নাইট কারফিউ বলে সরকারি ভাবে কিছু থাকছে না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হোক চাই না। তবে হ্যাঁ বেআইনি জমায়েত যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে।” এছাড়া আবশ্যক ও অতিআবশ্যক জিনিসের উপর থাকছে বিশেষ কিছু নির্দেশ। চলুন দেখে নেওয়া যাক চতুর্থ দফার লকডাউনে কোন বিষয়ে কি কি ছাড় থাকবে
১. মানুষের সুবিধার্থে কনটেন্টমেন্ট জোন গুলি বুধ ও ওয়ার্ড ভিত্তিক ৩ ভাগে ভাগ করা হলো।
২. এই ৩ টি ভাগ হলো ক্ষতিগ্রস্ত জোন, বি বাফার জোন ও সি ক্লিন জোন। ২৭ শে মে এর পর থেকে বি ও সি জোনে ২ জন যাত্রী নিয়ে চলবে অটো রিকশা।
৩. কনটেন্টমেন্ট জোন ছাড়া ২১ মে এর পর থেকে খুলবে সব বড়ো দোকান।
৪. ২৭ মে এর পর থেকে জোড় বিজোড় নীতিতে খুলবে দোকান ও হকার্স মার্কেট। এবিষয়ে বিশেষ পাস দেবে পুলিশ।
৫. মলের ভিতরে থাকা অফিস খোলা যাবে কিন্তু শপিং মল খোলা যাবে না।
৬. সমাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খোলা যাবে সেলুন, পার্লার। তবে ছুঁড়ি কাঁচি স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামুলক।এই জন্য আসবে বিশেষ গাইড লাইন।
৭. ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলবে বেসরকারি সংস্থা।
৮. সমাজিক দুরত্ব মেনে খুলবে হোটেল।তবে খোলা যাবে না রেস্তোরা।
৯. ২১শে মে পর থেকে আন্তঃবাস চলবে।
১০. যে কোনো সমাজিক অনুষ্ঠানে ১৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবে।