বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নাজেহাল তাবড় বিজ্ঞানী, চিকিৎসকমহল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রবলভাবে ব্যর্থ সারা পৃথিবীর প্রতিটা দেশ। দিনের পর দিন করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। মারণ এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়ে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৩৪ জনের।
প্রযুক্তির শিখরে অধিষ্ঠিত তথা ঈর্ষণীয় চিকিৎসা পরিষেবা সত্ত্বেও শুধু ইউরোপেই করোনো সংক্রমণে মৃত্যু ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে চীন ও ইরানের পর করোনাভাইরাস মূল ধাক্কা দেয় ইউরোপীয় দেশ ইতালিকে। অবশ্য, করোনার কেন্দ্র এখন ইতালি থেকে সরে ক্রমশ স্পেনের দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে যা স্পেনের কপালে নামিয়েছে তীব্র আতঙ্ক। স্পেন এখন বিশ্বের তৃতীয় আক্রান্ত দেশ যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সারাবিশ্বে মোট করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে ৯ লাখ ৩ হাজার ৫৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নতুনভাবে সংক্রমিত ৪৫ হাজার ২৪১ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ১৮ জন। সব মিলিয়ে পৃথিবীজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ২৪৫ জনের।
এদিকে করোনা সংক্রমণে পৃথিবীর সবচেয়ে জর্জরিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিউ ইয়র্ক ও সানফ্রান্সিসকে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২ লাখ ২৬৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে আরও সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৩৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৪১ জন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকা বজায় থাকা সত্ত্বেও করোনভাইরাস মহামারী থেকে আগামীতে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মার্কিনীর মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে পূর্বাভাস দিয়েছে।
তবে আশ্চর্যজনকভাবে উহান থেকে প্রথম আবিস্কৃত করোনা ভাইরাসটি দ্বারা চীনের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৭ জন। এখনো পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩১২ জন।