দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীজুড়ে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকতটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
বিশ্বজুড়ে মারণ করোনাভাইরাসে মৃত্যু মিছিল অব্যহত। বৃহস্পতিবার রাতেই সেই সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ দিকে, সারাবিশ্বে এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষের বেশি ব্যক্তি মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পৃথিবীজুড়ে মোট ২০৪টি দেশ এই ভাইরাসটি দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
চীনের উহান থেকে উদ্ভূত মারণ COVID-19-এর আর্থসামাজিক প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বলেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ এতোই ভয়াবহতা ডেকে আনবে যে পরবর্তীতে আর্থিক সংকট সৃষ্টি হবে যার মিলিত প্রভাবের কারণে বাড়বে অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব। গোটা বিশ্ব যাতে COVID-19-এর বিরুদ্ধে শক্তভাবে রুখে দাঁড়ায়, সেই প্রচেষ্টায় করা উচিৎ বলে মত গুতেরেসের।করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে আগামীদিনগুলোতে যে চরম আর্থিক মন্দা আসতে চলেছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে যাতে অভাব না পরে তার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি দেশের কাছে আবেদন করেছে তারা। যেনতেন প্রকারে এই সংকট মোকাবিলায় সফল হতে হবে।
চীনের উহান থেকে উদ্ভূত মারণ কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে নাজেহাল তাবড় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকমহল। চিনের থেকেও করোনার প্রকোপ বেশি ছড়িয়েছে সারা ইউরোপজুড়ে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দের তালিকায় ইতালি, স্পেন এবং আমেরিকায়। বৃহস্পতিবার রাতের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১০ লক্ষ ৫ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫১ হাজার ৬৭১ জনের। শুধু ইতালিতেই মারা গিয়েছেন ১৩,৯১৫ জন। মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে স্পেনে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ১০,০৯৬ জন এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন।
অন্যদিকে, করোনার হটস্পট নিউ ইয়র্ক মৃত্যুর নিরিখে গোটা আমেরিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে এই প্রাণকেন্দ্র। আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই নিউ ইয়র্কের। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, আমেরিকায় ৫,৭৬৮ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৬০ জন।
এ ছাড়াও ইরানে ৩১৬০ জন, ব্রিটেনে ২৯২১ জন, নেদারল্যান্ডে ১০৮৩ জন, জার্মানিতে ১১০৪ জন, বেলজিয়ামে ১০০১ জন, স্যুইৎজারল্যান্ডে ৫৩৬ জন, তুরস্কে ৩৫৬ জন এবং সুইডেনে ৩০৮ জন এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন।