নিউজপিডিয়া ডেস্ক: নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক বিমান, ট্রেন ও দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান অনেক আগেই বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই লকডাউনের মাঝেই যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। আজথেকে সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী চালানো হবে যাত্রীবাহী ট্রেন। আপ ডাউন মিলিয়ে মোট ১৫ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। পাশাপাশি চলবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল ট্রেন গুলিও।
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ ট্রেনগুলি নতুন দিল্লী স্টেশন এবং ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুবনন্তপুরম, মাদগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আমদাবাদ ও জম্মু তাওয়াই স্টেশনের মধ্যে চলাচল করবে।
তবে রেল যাত্রার ক্ষেত্রে কিছু বিধি মানতে হবে যাত্রীদের। যেমন-
রেলের টিকিট শুধুমাত্র আইআরসিটিসি’র ওয়েবসাইট থেকেই মিলবে। এক্ষেত্রে সাধারণ ভাড়াই নেওয়া হবে। রেলের টিকিট কাউন্টারগুলি বন্ধ থাকবে।
শুধুমাত্র কনফার্মড টিকিট থাকা যাত্রীদেরই স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। যাত্রীদের সঙ্গে কেউ থাকলেও তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
যে স্টেশন থেকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠবেন, সেই স্টেশনের বাইরে প্রত্যেক যাত্রীর বাধ্যতামূলকভাবে স্ক্রিনিং হবে। যাত্রীদের মাস্ক পরা আবশ্যিক।
যে যাত্রীদের উপসর্গ থাকবে না, তাঁদের শুধু স্টেশনে প্রবেশ ও ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। পরীক্ষার সময় কারও করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই ট্রেন পরিষেবা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে বেশ চাপানউতোর। এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু মৈত্র বলেন, “একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, যুক্তরাষ্ট্রীয় তোয়াক্কা করছে না কেন্দ্র সরকার।”
“করোনা সতর্কতার পাশাপাশি আর্থিক বৃদ্ধি বা পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ শুরু করতে হবে”, জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
এছাড়া ট্রেন পরিষেবা নিয়ে চিকিত্সক জয়দেব রায় জানিয়েছেন, ” হঠাৎ যাত্রিবাহী ট্রেন চালালে তার ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে কিনা সেটা আগে খতিয়ে দেখা উচিত।”