নিউজপিডিয়া ডেস্ক: নেপালের প্রতিনিধি পরিষদে সে দেশের নতুন মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “ভারত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করবে। লিপুলেখ পথ অবধি ভারতের নির্মিত রাস্তাটি আমাদের অংশেই বেশি ছিল। রাস্তাটি উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগঠ জেলা দিয়ে যায়।
উত্তরাখণ্ডের জন্য ভার্চুয়াল সমাবেশে বক্তব্য রেখে রাজনাথ সিংহ বলেন, “ভারতের নির্মিত রাস্তাটি নিয়ে যদি নেপালবাসীর মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে, তবে আলাপচারিতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।” দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ককে মাথায় রেখে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভারত ও নেপাল একসঙ্গে “রোটি ও বেটি” দ্বারা আবদ্ধ। বিশ্বের কোনও শক্তিই এটি ভেঙে দিতে পারে না। যদিও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এম নারাভেনে সম্প্রতি বলেছিলেন, “অন্য কারোর ইশারায় নেপাল এই কাজ করছে।” মূলত তিনি চীনকেই ইঙ্গিত করে একথা বলেছিলেন।
রাজনাথ সিং বলেন, “আমাদের সম্পর্ক শুধু ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক নয়, আধ্যাত্মিকও। ভারত কখনই এটি ভুলতে পারে না। ভারত ও নেপালের সম্পর্ক কীভাবে ভেঙে যেতে পারে?” নেপালের প্রধান মন্ত্রী কেপি শর্মা অলিও ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
নেপালে সংশোধনী বিলটি পাস হওয়ার পরে অলি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “প্রথম ধাপ শেষ হযেছে। এখন ভারতের সঙ্গে আলাপই হবে পরবর্তী পথ। আমি এই অভূতপূর্ব ঐক্য নিয়ে খুশি। ” দিল্লি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যদিও হুমকিই দিয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “এই দাবি ঐতিহাসিক ঘটনা বা প্রমাণের ভিত্তিতে নয় এবং এটি স্থায়ীও নয়। সীমানা ইস্যুতে আলোচনা করাও আমাদের বর্তমান উপলব্ধি লঙ্ঘনকারী।”
রবিবার এই বিলটি নেপালের উচ্চসভায় পেশ করা হয়েছিল। উচ্চসভার ৫৯ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন সদস্যই এই বিলটিকে সমর্থন করেছেন।