সোমনাথ দত্ত, মালবাজার: ডুয়ার্স এলাকায় প্রবল বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘিস নদীর বাঁধ পরিদর্শন করতে এসে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। সোমবার সকালে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক, সেচ দপ্তরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার জে পি পান্ডে, মালবাজার মহকুমা শাসক পিয়ুস ভাগনরাও সালুঙ্কে সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সঙ্গী করে লিসরিভার চা বাগানের বরকোনা লাইন শ্রমিক মহল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘিস নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন,”বরকনা লাইনের শ্রমিক মহল্লা রক্ষা করতে সেচ দপ্তর আপাতত নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে নদীর মাঝ বরাবর একটি চ্যানেল তৈরী করবে। একইসঙ্গে নদী বাঁধ রক্ষায় তিনটি বড়ো মাপের রিফ্লেকটর নদীর বুকে তৈরি করা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত ১৯ অগাস্ট সকাল থেকে বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের লিসরিভার চা বাগানের বরকোনা শ্রমিক মহল্লার ১৮ নম্বর সেকশনে জেলা পরিষদ নির্মিত ঘিস নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছিলো। সেদিন বাঁধের একাংশ নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন বরকোনা শ্রমিক মহল্লার ১৮ নম্বর সেকশনের শ্রমিকরা। সেদিনের পরও লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে ডুয়ার্স এলাকায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে প্রচন্ড দাপটে ঘিস নদীর জলস্রোত গতিপথ পাল্টে ক্রমশঃ বাগানের দিকে এগিয়ে আসছে তাতে যে কোনও মুহুর্তেই পুরো বাঁধটি হুড়মুড়িয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের পাশাপাশি চা বাগানেরও প্রবল ক্ষতি হতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিন জেলা শাসকের সংস্কারের নির্দেশে ওই এলাকার স্থানীয়রা চিন্তা মুক্ত হলেন বলে জানাগেছে।