গুয়াহাটি, ২৬শে মে : করোনা সঙ্কটের মাঝেই ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। একটানা বৃষ্টির প্রভাবে যেমন ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর বেড়েছে, তেমনই ৫টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা ৩০ হাজার অতিক্রম করেছে।
আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, গোয়ালপাড়া, ডিব্রুগড়, দরং, ধেমানজি এবং লখিমপুর জেলাগুলির ৮টি রাজস্ব সার্কেলের ১২৮টি এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকা জলের তলায়। বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন মোট ৩০,৭০১ জন মানুষ। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত গোয়ালপাড়ায় ৩৩ টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৯ হাজার মানুষ আশ্রয়ে রয়েছেন।
বন্যায় হেক্টরের পর হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় তলিয়ে গেছে। জানা যাচ্ছে, লখিমপুর এবং ধেমানজি দুই জেলায় ৫৭৯ হেক্টর শস্যের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া প্রায় ১২ হাজার গবাদি পশু এবং পোলট্রিও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জল কমিশন অসমের জন্য বন্যার সতর্কবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি মেঘালয় ও অরুণাচল রাজ্যে গত ৫ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী আরও ৩ দিন আবহাওয়া একই রকম থাকার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় আবহওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান কে সাথী দেবী জানিয়েছেন, “বঙ্গোপোসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ওই অঞ্চলে আসার ফলে বৃষ্টি থামতে যথেষ্ট বিলম্ব হবে।
এদিকে জাতীয় জল কমিশনের এস সি কলিতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “১৬ মে থেকে টানা বৃষ্টির ফলে জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ২-৩ ঘণ্টায় জলস্তর ১ থেকে ২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।” ইতিমধ্যে সন্তিপুরে ব্রক্ষপুত্রের শাখানদী জিয়া ভারালির জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পুথিমারি নদীরও একই অবস্থা। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের জলসীমার কারণে প্রায় ১১ হাজার মানুষ বিপদে রয়েছেন।