নিজস্ব সংবাদদাতা, উওর ২৪ পরগনা : উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারী গাবতলা গ্রামে ঘটলো এক নিশংস ঘটনা। দিশা ঘোষ(২০বছর) গত ছয় মাস আগে বিথারীর গাবতলার বাসিন্দা ঋজু ঘোষ এর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে। এই বিয়েতে দিশার পরিবারের লোকজন প্রথমে রাজি ছিল না। শেষমেষ মেয়ের আবদারে সাধ্যমত বাবা স্বপন দাস গহনা, নগদ অর্থ দিয়ে বিয়ে দেয় মেয়ে দিশাকে ঋজুর সাথে।কিন্তু বিয়ের পর থেকে একের পর এক দাবি করতে থাকে জামাই ঋজু।, কখনো সোনা গহনা আবার কখনো নগদ অর্থের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয় মেয়ে দীশার উপর। বেশ কয়েকবার গৃহবধূ দিশা বাপের বাড়ি হাবরার ফুলতলা গ্রামে চলেও আসে এবং বাড়ির লোকজনকে সব জানায়। স্বামী ঋজু ফোনে বারবার বাড়ি আসার জন্য চাপ দিতে শুরু করে দিশাকে।
গৃহবধূ দিশা গতকাল বুধবার সকাল বেলায় বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে রওনা দেয়। গৃহবধুর জনধন যোজনা একাউন্টে ৫০০ টাকা জমা পরলে স্বামী ঋজু সেই টাকা দিশার কাছে চায় এবং জোর করে তার ব্যাংকের বইটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। গৃহবধূ প্রতিবাদ করলে তার গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এমনটাই অভিযোগ দিশার পরিবারের।
জানা গিয়েছে ঋজু বিয়ের পর থেকে কোন কাজকর্ম করত না । এদিন গৃহবধূকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শাড়াফুল গ্রামীণ হাসপাতালে তারপর বসিরহাট জেলা হাসপাতাল নিয়ে আসে সেখান থেকে কলকাতা আরজি করে নিয়ে যায়। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এই খবর দাস পরিবারে পৌঁছাতে ক্ষোভে ও কান্নায় ফেটে পড়ে মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোক জন। বাবা স্বপন দাস ইতিমধ্যেই স্বরূপনগর থানায় জামাই ঋজু ঘোষ এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে ।
পুলিশ ঋজু ঘোষ কে গ্রেফতার করেছে ।ধৃতকে আগামীকাল শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পেছনে শুধুই কি জনধন যোজনা ৫০০ টাকা জন্য খুন? নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোন ঘটনা লুকিয়ে আছে ? সেটা খতিয়ে দেখতে ময়দানে নেমেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।