বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা: আমফানের তান্ডবলীলা চালানোর প্রায় ৩ দিন হতে চললেও মহানগরীর অধিকাংশ এখনও অন্ধকারে রয়েছে। জলের যোগানও দেওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ক্রমশই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। অনেক জায়গায় মানুষ ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন অঞ্চল বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু এই মুহূর্তে এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ আশা জোগাতে পারছে না প্রশাসন।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “৭ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুরকর্মী ও অন্যান্যরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।”
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “মানুষের বিক্ষোভ শাসক দলের ব্যর্থতার প্ৰমাণ। পাল্টা মেয়র বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার মাঝে দিলীপ বাবু কথা কম বললেই ভালো।”
বেহালায় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অমিত দত্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “টেলি, ইলেকট্রিক যোগাযোগহীন ও পানীয় জল ছাড়াই বসে আছি।” তিনি এটাকে রসিকতা বলে মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন, মোবাইল কানেকশন না হলেও চলবে। তবে জল ও বিদ্যুতের নূন্যতম পরিষেবা দরকার।
মধ্য কলকাতার বাসিন্দা পূজা সাহা জানিয়েছেন, পুরসভার হেল্পলাইনে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ড্রেনগুলি আমফানের জেরে বন্ধ হয়ে গন্ধে ভরে গেছে।
অন্যদিকে অজয়নগরে ইএম বাইপাস আটকে বিক্ষোভরত নাগরিকরা প্রশ্ন তোলেন, ২৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে আলো থাকলেও বাকিদের নেই। পানীয় জলের সঙ্কট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
তবে মেয়র জানিয়েছেন, এমন সাইক্লোনের কথা ভাবাই যায় না। পাঁচ হাজার গাছ পড়ে রয়েছে। অনেক রাস্তা পরিস্কার করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।