মনিরুল ইসলাম রাজী, হরিশ্চন্দ্রপুর:
হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তুলসিহাটা মস্তান রোড সংলগ্ন পুরনো সেতুটির বেহাল অবস্থা। মাঝখানে একটি অংশ ভেঙে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ব্রীজটি। তার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকাবাসী। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী দাবি তুলেছেন অতি সত্বর নতুন ব্রিজের। না হলে যেকোনো সময় বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
তুলসিহাটা, রশিদাবাদ ও বরুই অঞ্চলের বাসিন্দারা যোগাযোগের জন্য এই ব্রিজের উপরে নির্ভরশীল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার একমাত্র হাসপাতাল, বিডিও অফিস তথা তুলসীহাটার সাপ্তাহিক হাটে যাওয়া আসার জন্য এই ব্রিজের উপর দিয়েই পারাপার করতে হয় তাদের। এলাকার একমাত্র রেলস্টেশন হরিশ্চন্দ্রপুরেই অবস্থিত। ফলে কংক্রিটের এই ব্রীজটিকে অত্র এলাকার লাইফ লাইন বলা যায়। গত ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার পর ব্রীজটি দুর্বল হয়ে পড়ে। রেলিং ভেঙে গেছিলো আগেই। সম্প্রতি ব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে, ধ্বসে পড়েছে কংক্রিট। ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রাণবন্ধু সিনহা বলেন, “ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের যাতে আমরা নিত্যযাত্রীরা দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে পারি।”
অন্য এক পথচারী সাবু রাজী জানালেন, “এই ব্রিজের উপর দিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়াত করে। প্রশাসনের উচিত খুব তাড়াতাড়ি একটি নতুন ব্রিজ তৈরি করার।”
স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানাালেন, “বিষয়টির ব্যাপারে অবগত আছি। বিডিও সাহেবকে জানিয়েছি। জেলা পরিষদেও ব্যাপারটি উত্থাপন করব। প্রয়োজনে ডিএম সাহেবকেও জানাবো।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৬-২০১৭ তে তুলসীহাটা থেকে মকদমপুর রাস্তাটি তৈরী হয়। কিন্তু ব্রীজটি নতুন করে হয়নি। এমনকি মেরামতও হয়নি। নতুন রাস্তা হওয়াতে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে ব্রীজটির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে দিন দিন। এমন অবস্থায় প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতি সত্বর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।