নিউজপিডিয়া ডেস্ক: পাঞ্জাবে বন্ধ হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা। প্রকল্পটির অধীনে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হত। এর ফলে রাজ্যটির প্রায় ৩২ লক্ষ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনের জেরে এমন সিদ্ধান্ত বলে অনেকের ধারণা।
করোনা অতিমারির প্রভাবে গত বছর থেকে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। লকডাউন জারি হলে প্রকল্পটির আওতায় দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পে প্রতি সদস্যকে পাঁচ কেজি গম এবং এক কেজি ডাল দেওয়া হত।
অতিমারি করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন জারি হলে পাঞ্জাবের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। প্রাথমিকভাবে সেই দারিদ্র্য রোধ করার জন্য গত বছরের এপ্রিলে রাজ্যটিতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা চালু করা হয়েছিল।
খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের উপপরিচালক রজনীশ কুমারী জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের কারণে দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্বাভাবিক রেশন ব্যবস্থা চালু থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পটি সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটিতে সমাজকর্মী, শিক্ষকদের পাশাপাশি অঞ্চল প্রধানগণও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তবে প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার জন্য সেই কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে প্রকল্প বন্ধের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানা গেছে।