উজির আলি, মালদা: রাত পোহালেই বাঙালীর জামাই ষষ্ঠী। অগ্নিমূল্য বাজার! কিন্তু জামাই আদরে খামতি রাখতে চাইছেন না শ্বাশুড়ি মায়েরা। ফের করোনার কাটা জামাই ষষ্ঠীতে। গত বছরেও এই অতিমারী গ্রাস করেছিল জামাই ষষ্ঠীকে। বছর ঘুরলেও সেই অতিমারী গ্রাস অব্যাহত রইল এবারোও। রাত পোহালেই বাঙালীর ঘরে ঘরে জামাই ষষ্ঠী।জামাইদের মঙ্গল কামনাই ব্রতী হবেন শাশুড়ি মা-য়েরা। তার আগেই জামাইষষ্ঠীর আগের দিন অগ্নিমূল্য বাজার। শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবেরই আকাশ ছোঁয়া মূল্য। এই অগ্নিমূল্যের কারনে কপালে চিন্তার চওড়া ভাজ দেখা দিয়েছে আম-বাঙালীর। মঙ্গলবার মালদহের পাশাপাশি চাঁচল দৈনিক বাজারেও মাছ মাংস থেকে শুরু করে সব্জী ফলের মূল্য আকাশ ছোয়া। ক্রেতারা যেটাতেই হাত দিচ্ছে সেখানেই ছেকা খাচ্ছে। এদিন আনাজের মধ্যে আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, পেয়াজ ২৫ টাকা।
শাক সব্জীর পাশাপাশি রুই, কাতল মাছ প্রতি কেজি প্রায় ২৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রায় ৬৫০ টাকা কেজি।
বাদ নেই জামাই আদরের আম। এদিন ল্যাঙড়া আম ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা হাতে গোনা খদ্দের। এই চড়া দামে বাজারে এসে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে চাঁচলবাসী। এক ক্রেতা বিভূতি দাস জানান, কাল জামাইষষ্ঠী আজ বাজার করতে এসেছি। শাক সব্জী মাছ মাংস ফল সবরি আকাশ ছোঁয়া দাম। না পাড়তে কোনোরকম নমো নমো করে বাজার সারলাম।
এক মাছ বিক্রেতা মনি দাস জানান, লকডাউনে বাজার মান্দা। সকাল থেকে মাছ নিয়ে বসে থাকলেও খদ্দেরের দেখা নেই। একসময় এই জামাইষ্ঠীর বাজার সরগরম থাকত।তবে গতবারের মতো এবারেও লকডাউনের ছায়ায় ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।মাছের আমদানি কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি করে তবেই থাকবে লাভ।তবে এই দাম শুনেই খদ্দেররা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। ওই মাছ বিক্রেতা আরোও জানালেন, লকডাউনে অনেকেই কর্মহীন। তাই আর্থিক সঙ্কটের কারনে হয়তো ইচছে থাকলেও বাজার করতে পারছে না।
জামাইষষ্ঠীর অন্যতম উপরকরণ ফলের রাজা আম। থাকছে জাম। কিন্তু সেই আমের দাম চড়া। ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ল্যাঙড়া আম। কিন্তু তাতেও ক্রেতাদের দেখা নেই বলে দাবি করছে চাঁচলের আম বিক্রেতা শচীন দাস। তিনি বলেন, সকাল থেকে ৫০ কেজি আম নিয়ে আসলেও প্রায় তিন ঘন্টা হতে চললো মাত্র কেজি দশেক আম বিক্রি হয়েছে।সূত্রের খবর ইয়াস ও কালবৈশাখী ঝড়ে সব্জী চাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমদানি না থাকায় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে আনাজের বলে দাবি সব্জী বিক্রেতাদের। রাত পোহালেই বাঙালীর জামাই ষষ্ঠী। অগ্নিমূল্য বাজার কিন্তু জামাই আদরে খামতি রাখতে চাইছেন না শ্বাশুড়ি মায়েরা।