কলকাতা, ১৮-জুন: বাংলার দুই শহিদ পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে পরিবারের একজন সদস্যের জন্য সরকারি চাকরিও থাকছে। যদিও এই ক্ষতিপূরণ কোনোভাবেই ভরাট হবে না, তবুও সহযোগিতার কোনো ত্রুটি রাখতে চায় না সরকার। মঙ্গলবার পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় অনেকে শহিদ হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার দুই বীর যুবক। একজন বীরভূমের রাজেশ ওঁরাও, অন্যজন আলিপুরদুয়ারের বিপ্লব রায়। এই যুই যুবকের অকাল প্রয়াণে শোকাবহুল সমগ্র রাজ্য।
২০১৫ সালে ১৪৫ বিহার রেজিমেন্টে যোগ দেয় রাজেশ। বাল্যকাল থেকেই অভাবের সঙ্গে লড়াই করে তাঁর বড়ো হয়ে ওঠা। বাবা সুভাষ ওঁরাও পেশায় দিনমজুর। মহম্মদ বাজারের মালাডাং হাইস্কুলের ছাত্র রাজেশ। উচ্চমাধ্যমিকের পর সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি হলেও স্নাতক সম্পূর্ণ করবার পূর্বেই সেনাবাহিনীতে রাজেশের যোগদান। রাজেশের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে সমগ্র বীরভূমে। খবর পাওয়ার পর থেকেই রাজেশের মা মমতা থেকে থেকে অচেতন হয়ে পড়ছেন।
অন্যদিকে, একইদিনে শহিদ হন বাংলার আর এক বীর যুবক বিপুল রায়। আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার অন্তর্গত বিন্দি পাড়ার যুবক বিপুল বেশ কয়েকবছর আগে যোগ দেয় সেনাবাহিনীতে। শহিদ বিপুল রায়ের বাড়িতে রয়েছে বাবা, মা, ভাই, স্ত্রী ও ছোট এক মেয়ে। জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে এসেছিলেন বিপুল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাড়ি ফেরা হল না আর। গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের অস্থির পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিপুলের পরিবারের। তবে এতটা ক্ষতি ভাবতেও পারেনি বিপুলের প্রিয়জনেরা। বিপুলের মৃত্যুর খবরে শোকাচ্ছন্ন সমগ্র আলিপুরদুয়ার।
স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কর্তারা হাজির হয়েছেন দুই বাড়িতেই। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তবুও এই শোকের যন্ত্রণা কোনোভাবেই মিটবে না এই দুই পরিবারের। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ঘোষণা। দুই পরিবারকেই পাঁচ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।