নিউজপিডিয়া ডেস্ক: কেন্দ্র সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একমুখী করতে তৎপর। সেই জন্য দেশের সব স্কুলগুলোকে একটি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত চাইছে। সেই ‘এক দেশ, এক শিক্ষা বোর্ড’ -এর দাবিতে করা আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, পাঠ্যক্রম তৈরির বিষয়টি প্রশাসনের নীতি নির্ধারণের অন্তর্ভুক্ত। আর এমন বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ বা কোনও দিক নির্দেশনাও প্রদান করতে পারে না।
আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় তাঁর করা আবেদনে সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডকে মিলিয়ে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানান। তাঁর মতে, ওই কমিশন দেশের ৬-১৪ বছর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের জন্য এক ও অভিন্ন সিলেবাস তৈরি করবে।
আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মন্তব্য করে যে, তিনি কীভাবে বিভিন্ন বোর্ডকে মিলিয়ে এক করে দিতে বলেন। বিষয়টি আদালতের নয়, নীতিগত বিষয় বলে জানিয়ে দেয় বেঞ্চ।
ওই আবেদনকারীর মতে, দেশের বিভিন্ন পেশাদারি কোর্সের প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি সিবিএসই সিলেবাস নির্ভর হওয়ায় তা সংবিধানের ১৪ ধারার পরিপন্থী। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এইসব প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সব পড়ুয়ারা সমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অভিন্ন সিলেবাসের মাধ্যমে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় অখণ্ডতা, ঐক্যে আরও গভীর হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও ভাষাগত বৈষম্যও কমবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
৬-১৪ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, দায়িত্ব ইত্যাদি সংবিধানের কয়েকটি বিষয়ের জন্য করা একটি নির্দিষ্ট পাঠ্যবই এর সুপারিশও খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন কাঁধে করে ভারী ব্যাগের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে। তার উপরে আপনি আরও একটা বই যোগ করে তাদের বোঝা আরও বাড়াতে চাইছেন! আমরা চাই না আমাদের ছেলেমেয়েদের উপর আরও কোন বোঝা চাপানো হোক।”