সোমনাথ দত্ত, মালবাজার: কলেজে স্থায়ীকরন সহ সমকাজে সমবেতন, ২০১৯ সালের ৩৯৯৮এফ(পি) সরকারি আদেশাবলির লাগুকরণ, পরিচালন সমিতির দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী শিক্ষক-কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবীতে আন্দোলনরত মালবাজার পরিমল মিত্ৰ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ
শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। মঙ্গলবার কলেজের মূল গেট আটকে বিক্ষোভ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁদের দাবিদাওয়াতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন কলেজের অস্থায়ী কর্মী ইউনিয়নের সকল সদস্যবৃন্দ।
এদিন সংগঠনের মালবাজার ইউনিটের সম্পাদক অভ্রদ্বীপ পোদ্দার বলেন, “রাজ্যের সরকার আমাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছেন। কলেজের পরিচালন সমিতির দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ করলেও আমাদের ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। করোনাকালে আমরাই কলেজের যাবতীয় কাজকর্ম সামলেছি। আমাদের কাজের স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৯ সালে করা ৩৯৯৮এফ(পি ) সরকারি আদেশনামা লাগু কথা বললেও তা করা হয়নি । আমাদের আরও দাবী ৬০বছর পর্যন্ত কাজের স্থায়িত্ব করতে হবে।” এদিনের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মালবাজার কলেজের সমস্ত অস্থায়ী শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।
আন্দোলন প্রসঙ্গে কলেজ ইউনিটের সভাপতি তপতি বিশ্বাস বলেন, “কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত করলেও সামান্য বেতনের অর্থে বর্তমান সময়ে চলা খুবই কষ্টের। সমস্ত রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে আমরা অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মীরা বঞ্চিত। আমাদের আন্দোলন পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধেও। যখনই আমাদের কর্মীরা ন্যায্য দাবী নিয়ে আন্দোলন করেছেন তখনই রাজ্যের সরকার পুলিশের মাধ্যমে সেই আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”
অপরদিকে মালবাজার কলেজের অস্থায়ী কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক অভ্রদ্বীপ পোদ্দার বলেন, “আজ আমাদের রাজ্য কমিটির এক প্রতিনিধিদল মাননীয় রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আমাদের বিভিন্ন দাবী সম্মিলিত স্মারকলিপি তুলে দেবেন।” তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দাবীর বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও আক্ষরিক অর্থে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। আমাদের এই আন্দোলন আগামী দিনেও চলবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা নন্দিতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।”