রবিউল হোসেন: মারন ব্যাধি করোনা দায়িপে বিচরণ করছে গোটা বিশ্বে। আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়লেও এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি কোনো কার্যকারি প্রতিষেধক। বিশ্বের বড়ো বড়ো ওষুধ নির্মাতা সংস্থা নিরলস ভাবে প্রচেষ্টা করলেও, সেই দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দাবী করা হচ্ছে, তাদের ভ্যাকসিনটি শত ভাগ কার্যকারি প্রমাণিত হলে তারা সেটা দ্রুততার সঙ্গে বাজারে আনতে সক্ষম। সেই জন্য তারা আগাম চুক্তি করে রেখেছে ব্রিটিশ ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে। তারা আরও দাবী করে, তাদের প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিনটি মানব দেহে পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত ফল অর্জন করেছে। এখন সেটা তৃতীয়ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে এবং এর গুনাগুন নিচ্ছিত হলে এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তারা সেটা বাজারজাত করতে সক্ষম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথ শুক্রবারের প্রেস ব্রিফিংয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘ওষুধ প্রস্তুকারক যেসব প্রতিষ্ঠান এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে, তাদের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সবার আগে। আমরা আশাবাদী সবার আগে তাদেরই ফলাফল আমাদের হাতে আসবে।’ তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্টের আর এক কোম্পানি মডার্না’ ফার্মাসিউটিক্যালস তারাও এই দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। তাদের তৈরি ভ্যাকসিনও হিউম্যান ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে সবার উপরে যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রাজেনেকা রয়েছে একথা তিনি এক বাক্যেই স্বীকার করে নেন।
এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভালো যে, গোটা বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৬ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জন। আর করোনা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় গোটা বিশ্বে নিরন্তর গবেষণা চালাচ্ছেন ছোট বড়ো মিলিয়ে ২০০ সংস্থা। তবে তাদের মধ্যে ১৫ টি সংস্থার ভ্যাকসিন মানব দেহে পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পেয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।