রবিউল হোসেন: ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টার যুক্তরাষ্ট্রে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি অবমাননার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে গ্রাফিতি এবং স্প্রে পেইন্ট দিয়ে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছিল। এতে ভারত বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিল। আর এরপরই আজ জাস্টার তাঁর টুইটার থেকে টুইট করে ভারতের কাছে ক্ষমা চান । তিনি বলেন, “ওয়াসিংটন ডিসিতে গান্ধী মূর্তির অবমাননা দেখে খুব দুঃখিত। আমাদের আন্তরিক ক্ষমা গ্রহণ করুন। পাশাপাশি জর্জ ফ্লয়েডের বীভৎস মৃত্যু এবং ভয়াবহ সহিংসতা ও ভাঙচুরের কারণেও হতবাক হয়েছি। আমরা যে কোনও ধরণের কুসংস্কার এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমরা সুস্থ হয়ে উঠব এবং আরও ভাল থাকব।”
এই ঘটনাটি ২ এবং ৩ জুনের মধ্যবর্তী রাতে ঘটেছিল বলে সূত্রের খবর। এরপর ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা পররাষ্ট্র দফতরে বিষয়টি জানায় এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিতে অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার মেট্রোপলিটন পুলিশের এক আধিকারিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা যায়। গত ২৫ শে মে মিনিয়াপলিসে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জি ফ্লয়েডের হত্যার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ওঠে আর এই প্রতিবাদের মাঝেই মহত্মা গান্ধীর মূর্তির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিবাদও হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল যা বেশ কয়েকবার সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ এবং পবিত্র আমেরিকান স্মৃতি সৌধকে ধ্বংস করেছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে, বিক্ষোভকারীরা এই সপ্তাহে একটি গির্জা পোড়ায় এবং জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ এবং লিংকন স্মৃতিসৌধের মতো কয়েকটি জাতীয় সম্পত্তি এবং ঐতিহাসিক স্থান ক্ষতিগ্রস্থ করেছে বলে জানা যায়। ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল জমিতে বিদেশী নেতার কয়েকটি মূর্তির একটি হলো মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি। তত্কালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর দ্বারা তত্কালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের উপস্থিতিতে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০০ সালে এই মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
অক্টোবর ১৯৯৮ সালে, মার্কিন কংগ্রেস ভারত সরকারকে “কলম্বিয়া জেলার ফেডারেল জমিতে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে” একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন ও বজায় রাখার অনুমতি দিয়েছিল। ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুসারে, মহাত্মা গান্ধীর এই ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং এর উচ্চতা ৮ ফুট ৮ ইঞ্চি।