আবু সেলিম আজাদ
(মতামত লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত)
নভেল করোনা ভাইরাস রুখতে সারাদেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। কিন্তু লকডাউন কি শুধু মন্দিরে আর মসজিদে? নভেল করোনা ভাইরাস কি শুধু মসজিদ আর মন্দির থেকে ছড়ায়? খেলার মাঠ, বাজার ব্যাঙ্ক এসব জায়গা থেকে কি ছড়ায় না করোনা ভাইরাস? পুলিশ থেকে শুরু করে ডক্টর, নার্স, সাস্থকর্মী সকলের ভূমিকা অপরিসীম, বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু তাদের এই ভূমিকাকে আমরা মূল্য দিচ্ছি তো?
বিশেষ করে গ্রামীন বাজার গুলিতে না আছে সচেতনতা না আছে সামাজিক দূরত্ব। বড় জোর দু একজন শিক্ষিত মানুষ মুখে মাস্ক দেয় তবুও সেটা নিয়মরক্ষা বোঝাতে চায় আমি সবার থেকে আলাদা।
৯০ শতাংশ দোকান দারের মুখে মাস্ক নেই। কেউ কেউ আবার মুখে মাস্ক দেয় না কারণ তাদের লজ্জা লাগে।
ব্যাঙ্ক গুলির অবস্থা তো আরো ভয়াবহ, মা বোনদের ভিড়ের ঠেলায় ভেঙে যেতে চায় ব্যাংক। সরকারি নির্দেশ কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন কিন্তু সেখানে চার ইঞ্চি দূরত্ব খুঁজে পেতে ব্যবহার করতে হবে অত্যাধুনিক যন্ত্র দূরবীন। তাদের যদি সামাজিক দূরত্ব বোঝাতে চান মুখের উপর বলে দেবে,’পেট চলেনা শুধু ভাইরাস ভাইরাস’। গোটা ব্যাঙ্ক খুঁজে দেখলে শুধু ব্যাঙ্ক কর্মী ছাড়া আর কারো মুখে মাস্ক খুঁজে পাওয়া যাবে না। গায়ে গা লাগিয়ে দিয়ে সচেতন হয়ে আছেন ওনারাও হয়তো মুখে ওড়না দিয়ে নয়তো শাড়ির আঁচল দিয়ে।
প্রয়োজনীয় কাজে বেরোলে ভাইরাস ছড়ায় না, তাইতো ব্যাঙ্ক আর বাজারগুলিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব নেই।
মসজিদ গুলিতে মোটের উপর নামাজি হয় ১০ জন, শুক্রবার সংখ্যাটি একটু বেশি হয় সেটি দেখার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মিডিয়া থেকে শুরু করে কিছু বুদ্ধিজীবী মানুষ। মন্দির গুলির ও একই অবস্থা কোথায় পুণ্য স্নান করার জন্য কিছু লোক জমা হয়েছে সেই বাড়াও টিআরপি। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, খেটে খাওয়া দিন মজুর খাদ্য ও বাসস্থানের জন্য ভিড় করলেও ছড়ায় না করোনা ভাইরাস।
করোনা ভাইরাস শুধু ছড়িয়ে পরে নিজামুদ্দিন ও তিরূপতি মন্দিরে।