রবিউল হোসেন: এবারের হজে দশ হাজারের বেশী উপস্থিতি থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন সৌদির ওমরাহ ও হজ বিষয়ক মন্ত্রী ডঃ মুহাম্মদ সালেহ বেন্তেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী আল-রাবিয়াহ। গত মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
সীমিত সংখ্যক মানুষ নিয়ে হজ সম্পাদিত করার প্রসঙ্গে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডঃ তৌফিক আল-রাবিয়া জানান, দেশে করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এবারের এই সিদ্ধান্ত। তিনি আরো জানান, সীমিত সংখ্যক মানুষের পাশাপাশি এবারের হজে বিশেষ কিছু কঠিন নিয়ম পালন করতে হবে হজ যাত্রীদের।
ডাঃ আল-রাবিয়াহ উল্লেখ করেন যে, এবছরের হজে বাইরের দেশের কোনো হজ যাত্রীকে অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি দেশীয় হজ যাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের নীচে থাকতে হবে। কঠিন রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি এবারের হজের অনুমতি পাবে না।
তবে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে হজ যাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, এবারের হজে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য সরকার সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিশেষ কিছু নিয়মাবলী তৈরি করা হয়েছে।
হজ যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রোটোকলে যেগুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো:
১) দশ হাজারের বেশি লোককে হজযাত্রা করতে দেওয়া হবে না।
২) তীর্থযাত্রীদের পবিত্র স্থানে পৌঁছানোর আগেই তাদের পরীক্ষা করা হবে।
৩) শুধুমাত্র ৬৫ বছরের কম বয়সীদের এই বছর হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে।
৪) সকল হজযাত্রীকে হজ্জের অনুষ্ঠান শেষ করার পরে স্ব-বিচ্ছিন্নতার জন্য বলা হবে।
৫) হজযাত্রা শুরুর আগে সকল কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের পরীক্ষা করা হবে।
৬) সমস্ত তীর্থযাত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
৭) হজযাত্রা চলাকালীন যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হবে।
৮) সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
উল্লেখ্য যে, হজ ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি হওয়ার কারণে, প্রতি বছর প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মক্কা ও মদিনায় ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলি পরিদর্শন করতে ও বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সৌদি আরবে আসেন। কিন্তু এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।