বাপি আকুঞ্জি, ক্যানিং: কখনো পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূল যোগদান, কখনো আবার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান। এখন রাজ্য রাজনীতিতে প্রায় প্রতিদিন এই ছবি অতি সাধারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই ঘটনা দেখা গেল ক্যানিং বিধানসভাতে গতকাল। এদিন বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন এবং মমতা ব্যানার্জির লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে চারশোর বেশি কর্মী দক্ষিণ ২৪ পরগনার নব নিযুক্ত কোঅর্ডিনেটর পরেশ রামের হাত ধরে। এই যোগদানের খবরে খুশি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের দুই সদস্য তপন সাহা, সুশীল সরদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরেন ঘড়ুই, মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম দাস। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চেই ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর, নিকারিঘাটা, মাতলা ১, তালদি এবং বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে আসা দলত্যাগী বিজেপি ও সিপিএম কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর পরেশ রাম দাস।
বিজেপি ও সিপিএম কর্মীদের দলত্যাগ প্রসঙ্গে পরেশরাম দাস নিউজ পিডিয়ার সাংবাদিককে বলেন বলেন, “বিজেপির গণতন্ত্রবিরোধী নীতি ও জঘন্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণেই মানুষ বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে। জেলার আরও বহু বিজেপি ও অন্যান্য দলের কর্মী তৃণমূলে যোগদান করতে চায়। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ সেই ইচ্ছে প্রকাশ করে আমাদের চিঠি দিয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “করোনা মহামারী ও আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যেসব জনমোহিনী পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন, তার জন্য বহু বিজেপি কর্মী যোগ দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে সারা রাজ্য জুড়ে। আজ সভা মঞ্চ থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের উপপ্রধান মদন লস্কর সহ বিজেপি কর্মী মলিনা হালদার, বলরাম হালদার, ভাস্বতী সরদার, পিন্টু সর্দার সহ চারশোরও বেশি সক্রিয় কর্মী তৃণমূল শিবিরে যোগদান করে। এদিন যারা বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করল তাদের সবাইকে দলের নির্দেশ মেনে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান কো-অর্ডিনেটর পরেশ রাম দাস।