নিউজপিডিয়া ডেস্ক, ২৩ জুলাইঃ একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতায় কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেটা করে দেখিয়ে ২০২১ এর ভোটের প্রস্তুতি শুরু করলেন মমতা। অনেকদিন পর দলের সাংগঠনিক স্তরে এত বড় পরিবর্তন করতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। দলের কোর কমিটি, রাজ্য কমিটি, জেলা সংগঠন, যুব সংগঠনেও আমূল বদল আনা হল।
তৃণমূল নেত্রী এবার তারুণ্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কোচবিহারে দলের জেলা সভাপতি পদে আসীন হলেন পার্থপ্রতিম রায়। বিনয় কৃষ্ণ বর্মনের স্থলাভিষিক্ত হলেন পার্থ। অভিজিৎ দে ভৌমিককে কোচবিহার জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নদিয়ায় মহুয়া মৈত্র, হাওড়া শহরে লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বাঁকুড়ায় শ্যামল সাঁতরাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলার পাশাপাশি রাজ্য কমিটিতেও জায়গা দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের।
লোকসভায় বিজেপি ভাল ফল করায় গত প্রায় ১ বছর ধরে মমতা নিজে দলের নেতানেত্রীদের মূল্যয়ন করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই কাটমানি, রেশন, আমফান ত্রাণ দুর্নীতির মতো একের পর এক অভিযোগ আসছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা কাজে লাগিয়ে একুশের ভোটে জিতে চাইছিল গেরুয়া শিবির। এবার তৃণমূলনেত্রী জেলাস্তর থেকে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত দুর্নীতি মুক্ত করার কাজ শুরু করলেন। মহুয়া মৈত্র যিনি প্রকাশ্যে দলের নিচুতলার দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন, তিনিও জেলা সভাপতি পদে নিযুক্ত হলেন। সেই সঙ্গে নিস্ক্রিয়দের সরিয়ে দেওয়া হল। যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ আছে, তাঁদেরই শাস্তি দিলেন মমতা। নদিয়ার প্রাক্তন জেলা সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত, পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।
শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব আরও বাড়লো। দলের সাত সদস্যের কোর কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন শুভেন্দু। কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শান্তা ছেত্রীও। সঙ্গে রয়েছেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায়। কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অরূপ বিশ্বাস। উল্লেখযোগ্য ভাবে জঙ্গলমহল থেকে রাজ্য কমিটিতে এলেন ছত্রধর মাহাতো।