উজির আলি, মালদা: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সাদলিচক এলাকায় কংগ্রেসের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের কর্মীরা এই ফ্লেক্স ছিঁড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের সাদলিচক কুমেদপুর এলাকায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

ঘটনা সূত্রে খবর, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সাদলিচক কুমেদপুর এলাকায় কংগ্রেসের কর্মসূচির ব্যানার লাগানো হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে তা ছিঁড়ে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। ১৪ ফেব্রুয়ারি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সাদলিচক স্কুল মাঠে একটা কনফারেন্সের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। তার আগে কুমেদপুর রেল গেটের সামনে অনুষ্ঠানের প্রচারের জন্য নিজেদের ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল কংগ্রেসের তরফ থেকে। কিন্তু সকালে সেই সমস্ত ফ্লেক্স ছেঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। রাতের অন্ধকারে তা ছিঁড়ে ফেলেছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ করল কংগ্রেস। বরাবর কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভা ২০১৬ তেও যায় কংগ্রেসের দখলে। এবারও তা কংগ্রেসের দখলেই থাকবে এবং তা আন্দাজ করেই তৃণমূল তাদের কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের তরফ থেকে। প্রশাসনের তরফ থেকে যেন এর সুবিচার করা হয় এমনটাই দাবি তাদের। অপরদিকে তৃণমূল এই দায় অস্বীকার করে বলেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে নাকি কংগ্রেস বিলীন হয়ে গেছে। যাদেরকে ঠিকা দিয়ে এসব কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছে তারাই কাজ অর্ধেক রেখে পালিয়েছে। তাই এখন কংগ্রেস তৃণমূলের উপর দায় চাপিয়ে তৃণমূলে দাগ লাগাতে চাইছে। নির্বাচনের আগে এরকম ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

কংগ্রেস কর্মী আমিরুল ইসলাম জানান, “১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের হরিশ্চন্দ্রপুর ১,২ নম্বর ব্লকে একটা কনফারেন্স আছে। সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের ব্যানার দিয়ে একটা গেট করেছিলাম। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীরা তা ছিঁড়ে ফেলে। আমাদের বিধায়ক মোস্তাক আলম সাহেব ব্লক সভাপতি আবুল কাশেম সাহেবকে জানিয়েছি এবং থানাতেও জানানো হয়েছে। এখানে সাবলিচকের মাটিতে অন্য কোনও শক্তিশালী দল নেই। এখানে কংগ্রেস আর তৃণমূলের মুখোমুখি হয়। তাই অন্য কোনো দলের এটা করার কথা নয়। আমাদের সন্দেহ তৃণমূলই এই কাজটা করেছে।”
তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেছেন, “কংগ্রেসের আর কোনও অস্তিত্বই নেই হরিশ্চন্দ্রপুরে। এগুলো সব কংগ্রেসের ভাওতাবাজি। যাদেরকে ঠিকাতে ওসব লাগাতে দিয়েছিল তারা অর্ধেক লাগিয়ে পালিয়েছে।”
একুশের নির্বাচন কে সামনে রেখে এই সভা আয়োজন করেছে কংগ্রেস। এটাকে বানচাল করার জন্য এই কাজটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের তরফ থেকে। নির্বাচনের আগে প্রতিটা দলই নিজের নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া।