সোমনাথ দত্ত, মালবাজার: রাস্তার পাশে নতুন কেনা বাইক দাঁড় করিয়ে রেখে পাহাড়ি নদীর একটি পাথরে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে এক বন্ধু ছবি তুলতে গিয়ে কোনোভাবে পা পিছলে নদীতে পরে যান। সঙ্গী অপর বন্ধু তাকে বাঁচাতে গেলেও শেষ রক্ষা হয় নি। দুজনেই খরস্রোতা জলঢাকা নদীতে ভেসে যান। রবিবার বিকেলে ডুয়ার্সের পার্শবর্তী কালিমপং জেলার ঝালং ও বিন্দুর মাঝে জলঢাকা নদীতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, নদীতে ভেসে যাওয়া দুই যুবকের নাম আলিফুল ইসলাম ও কাজল ঘোষ। তারা ধূপগুড়ির মধ্যপাড়া ও ভেমটিযার বাসিন্দা। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও এখনো তাদের কোনো
খোঁজ পাওয়া যায় নি। সোমবার সকাল থেকেই জলঢাকা নদীতে র্যাফটিং করে তল্লাশি অভিযান শুরু হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। এক বছর আগেও বিন্দু এলাকায় দুই শিশু জলঢাকা নদীতে ভেসে গিয়েছিলো। আজকের ঘটনাও সেদিনের স্মৃতিকেই যেন মনে করিয়ে দিলো।
প্রসঙ্গত জলঢাকা থানার ওসি হিমাদ্রি ডোগরা বলেন, “সোমবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি অভিযান শুরু হবে। এনডিআরএফ এর একটি দল ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে। যারা নদীতে মাছ ধরতে যান তাঁদের সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
জলঢাকা পুলিশ সূত্রে জানা যায় বছর বত্রিসের দুই যুবক বাইকে চেপে ঝালং এর দিকে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিন্দু ও ঝালং এর মাঝে জলঢাকা নদীতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের “স্টেজ -১” অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান একজন নদীর মধ্যে পাথরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ফটো তোলার সময় কোনো কারণে পা পিছলে নদীতে পরে যায় অপরজন তাকে বাঁচাতে গেলে দুজনেই জলের স্রোতে ভেসে যান। ভেসে যাওয়ার খবর ছড়াতেই এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয়রা। পুলিশ ও এসএসবি কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দুই যুবকের খোঁজ শুরু করেন কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় উদ্ধারকার্যে ছেদ পরে। নদীর পাশের রাস্তায় দার করিয়ে রাখা বাইকটি পুলিশ উদ্ধার করেছেন। ঝালং এ ওই দুই যুবকই শুধু বেড়াতে গিয়েছিলেন নাকি আরও কেউ সঙ্গে ছিলেন তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।